‘ঐক্যের মূর্তি’ উদ্বোধনে ১১০০০ অভ্যাগতের মধ্যে ‘নেই’ বল্লভভাইয়ের নাতি! উঠছে প্রশ্ন
ঘটা করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ‘একতার মূর্তি’ উদ্বোধন হয়ে গেল। বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি গড়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া হল।
ঘটা করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের 'একতার মূর্তি' উদ্বোধন হয়ে গেল। বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি গড়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া হল। তবু ১১ হাজার অভ্যাগতের মধ্যেও স্থান হল না বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক থাকা একমাত্র জীবিত নাতির। সর্দার প্যাটেলের নাতি গৌতম প্যাটেল ও তাঁর স্ত্রী নন্দিনী প্যাটেল উপেক্ষিতই রয়ে গেলেন তাক লাগানো অনুষ্ঠানে।
গুজরাটে নর্মদা নদীর তীরে এই 'ঐক্যের মূর্তি'কে কৃষক সমাজের অস্মিতার প্রতীক বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিশ্বের উচ্চতম সেতুর উদ্বোধনের দিনে সেই গরিমায় খোঁচা দিচ্ছে উপেক্ষার এই দৃষ্টান্ত। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই তাঁদের অনুপস্থিতিতেই এই অনুষ্ঠান করতে হয়েছে।
সর্দারের একমাত্র জীবিত নাতি ও নাত বউ কখনও ভদোদরায় থাকেন, কখনও থাকেন আমেরিকায়। তাঁদের সন্তান আমেরিকায় কর্মরত। সর্দারের এক ছেলে দয়াভাই আর এক মেয়ে মণিবেন। মণিবেন অবিবাহিত ছিলেন। ১৯৯৩ সালে পরলোকগমন করেন। আর দয়াভাইয়ের দুই ছেলে বিপিন ও গৌতম। বিপিন ছিলেন নিঃসন্তান। ২০০৪ সালে মারা যান। সর্দারের পরিবারের মধ্যে রয়েছেন নাতি গৌতম, তাঁর স্ত্রী নন্দিনী ও ছেলে কেদার।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। একমাস আগেই তাঁরা আমেরিকা চলে গিয়েছেন। বল্লভ বিদ্যানগরে থাকেন সর্দারের সম্পর্কে নাতি মনুভাই প্যাটেলের ছেলে ভূপেন্দ্র। তিনিই জানান গৌতমবাবুর আমেরিকা চলে যাওয়ার কথা। এই অনুষ্ঠানে দেশে থাকা সর্দারের পরিবারের ৩০ জন সদস্যকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁদের ভিভিআইপি-র মর্যাদাও দেওয়া হয়েছিল।
এখানে উল্লেখ্য, গৌতম ও নন্দিনী এর আগে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯১-এর ১২ জুলাই সর্দারক ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনে গৌতমের দাদা বিপিন প্যাটেল সেই সম্মান গ্রহণ করেছিলেন।
এরপর যখন ২০০০ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সর্দারের বল্লভভাই প্যাটেল ও বীর বিতলভাই প্যাটেল মেমোরিয়ালের উদ্বোধন করেছিলেন, তখনও আমন্ত্রণের বাইরে রাখা হয়নি গৌতমের পরিবারকে। ২০০৩-এ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের এক অনুষ্ঠানেও তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে গৌতম আর নন্দিনী নীরবে ঘুরে গিয়েছিলেন মেমোরিয়াল থেকে। এবং কিছু বইদান করে গিয়েছিলেন।