স্বাধীনতা দিবসেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই বিপ্লবী! ভগত সিংয়ের মার্গদর্শী কাকা সম্পর্কে কিছু তথ্য
স্বাধীনতার দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই বিপ্লবী! ভগত সিংয়ের মার্গদর্শী কাকা সম্পর্কে কিছু তথ্য
আর মাঝে মাত্র একটা দিন। তারপরই দেশ ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে চলেছে। এমন এক আবহে দেশের ২০০ বছরের ব্রিটিশ অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভারতবাসীর শৌর্যের নানান কাহিনী উঠে আসছে স্মৃতি চারণায়। তেমনই এক কাহিনী সর্দার অজিত সিংয়ের। যাঁর মৃত্যু দিন ১৫ অগাস্ট।
কিছু অজানা কথা
যে স্বাধীনতার সূর্য দেখার জন্য দিনের পর দিনের অক্লান্ত লড়াই, রক্তপাত, অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল, সেই স্বাধীনতা দিবসের দিনেই মৃত্যু হয় বিপ্লবী সর্দার অজিত সিংয়ের। ১৮৮১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের জলন্ধরে তাঁর জন্ম।
ভগত সিংয়ের কাকা
শহিদ ভগত সিংয়ের কাকা ছিলেন অজিত সিং। জলন্ধরে আইনের পঠনপাঠন শেষ করে তিনি দেশমাতৃকার বন্দনায় 'রং দে বসন্তি চোলার' সুরে নিজেকে মগ্ন করেন। দেশকে বসন্তের দিন দিতে স্বাধীনতার লড়াইয়ের আগুনে তিনি তপ্ত হতে থাকেন।
'পগড়ি সমহাল জট্টা'
'পগড়ি সমহাল জট্টা' অভিযানের ডাক দিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক অ্যাক্টের বিরোধিতায় নামেন তিনি। আর্য সমাজের মন্ত্র দিক্ষীত হয়ে প্রকাশ্যে ব্রিটিশ বিরোঝিতা শুরু করেন তিনি। তখনও পাঞ্জাবের বুকে স্বাধীনতার আন্দোলনের আগুন সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। তারইমধ্যে একজন 'নাম' হয়ে ওঠেন অজিত সিং।
গুপ্তচরবৃত্তি ও ইরানে নির্বাসন
ব্রিটিশ বিরোধিতার জেরে মান্দালয় থেকে বার্মায় বহুবার তাঁকে স্থানান্তরিত হতে হয়েছে জেলবন্দি হয়ে। এরপর এরপর ৩৮ বছরের জন্য ইরানে নির্বাসনে চলে যান তিনি। সেখানে ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়ার জন্য সেনা প্রস্তুত করতে থাকেন অজিত। এদিকে., বহু ব্রিটিশ অফিসারের জীবনে গুপ্তচরবৃত্তি কের গোপন খোঁজ খবর নিতে থাকেন।
ভারত আগমন ও মৃত্যু
পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর আমন্ত্রণে এরপর ৩৮ বছরের নির্বাসন ভেঙে দেশে ফেরেন অডিত। ঠিক তার পরের বছরই ১৫ অগাস্ট দেশ স্বাধীন হওয়ার দিন রোগভোগের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। আর যে দিনের জন্য অপেক্ষা ছিল অজিতের,সেই দিনের সূর্যোদয় দেখেই পরোলোকে বিলীন হয়ে যান এই মহান বিপ্লবী।
স্বাধীনতা দিবস ২০২০: কয়েকটি ওয়েব সিরিজ যা আপনার দেশপ্রেমকে নতুন করে উজ্জীবিত করবে