তৃতীয় ভাষাই থাকবে, বাধ্যতামূলক হবে না সংস্কৃত: স্মৃতি ইরানি
দেশের ৫০০টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে এতদিন তৃতীয় ভাষা ছিল জার্মান। কিন্তু সম্প্রতি এনডিএ সরকার তার বদলে সংস্কৃতকে তৃতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। এর পরই সারা দেশ জুড়ে ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওঠে, বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার 'শিক্ষার গৈরিকীকরণ' করছে। আরএসএসের চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। এ দিন তিনি পরিষ্কার বলেছেন, নিজের সিদ্ধান্তে তিনি অনড় থাকবেন। কিন্তু সংস্কৃতকে বাধ্যতামূলক করতে রাজি নন। আরএসএস এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
স্মৃতি ইরানির যুক্তি সোজাসাপটা। তিনি জানান, জার্মান ভাষা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। আসলে তা নয়। জার্মানকে 'তৃতীয় ভাষা' থেকে সরিয়ে 'বিদেশি ভাষা'-র তালিকায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। ইংরেজি, হিন্দি ছাড়াও আর একটি ভাষা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়তে হয়। সেটাই হল তৃতীয় ভাষা। ২০১১ সাল থেকে তৃতীয় ভাষা হিসাবে জার্মান পড়ানো হচ্ছিল। সেই জায়গায় ঢোকানো হয়েছে সংস্কৃত। কিন্তু এটা পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়নি। কেউ তৃতীয় ভাষা হিসাবে সংস্কৃতের জায়গায় বাংলা, তামিল, তেলুগু, গুজরাতি এমন যে কোনও ভাষা পড়তে পারে। ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফশিলে যে ২২টি ভাষার উল্লেখ আছে, তার মধ্যে থেকে যে কোনও একটি ভাষা নেওয়া যাবে।
স্মৃতি ইরানির যুক্তি, বিদেশি ভাষা হিসাবে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ফরাসি, জাপানি, চীনা, স্প্যানিশ ইত্যাদি পড়ানো হয়। এ বার সেই তালিকায় জার্মানও ঢুকল। তা হলে, জার্মান পড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এটা বলা হচ্ছে কেন?