সঞ্জয় বারুর বই প্রমাণ করল মনমোহন সিং দুর্বল, বলছে বিজেপি
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বারু 'দ্য অ্যাকসিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' নামে যে বইটি লিখেছেন, তাতে অনেক কথাই উল্লিখিত হয়েছে। বইয়ে তিনি দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কোনও সাহসী সিদ্ধান্ত মনমোহন সিং নিতে পারতেন না। সবই অনুমোদন করিয়ে আনতে হত সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে। বলা হয়েছে, দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক মন্দা ইত্যাদি কারণে মানুষ বীতশ্রদ্ধ বুঝতে পেরেও মনমোহন সিংকে সরিয়ে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসাতে চাননি সোনিয়া গান্ধী। কারণ দলের অন্দরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাহুল চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই আর ঝুঁকি নিতে চাননি সোনিয়া গান্ধী।
বইয়ে দাবি করা এই তথ্যগুলির পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি বলেছেন, "এতদিন মানুষ সন্দেহ করত, উনি দুর্বল প্রধানমন্ত্রী। দেখা যাচ্ছে, বাস্তবে তাই-ই হল। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।" একই কথা শোনা গিয়েছে লালকৃষ্ণ আদবানির মুখেও। তিনি বলেন, "তথ্যগুলি আশ্চর্যজনক কিছু নয়। সবাই যা সন্দেহ করত, জানতে তাকে মান্যতা দিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যাঁকে মনমোহন সিং নিজেই মিডিয়া উপদেষ্টা করে নিয়ে এসেছিলেন।" এর আগে অবশ্য গতকালই বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, "মা-ছেলে (সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী) মিলে প্রধানমন্ত্রী পদের মর্যাদাহানি ঘটিয়েছে। উদ্দেশ্য হল, দায়িত্বশীলতার নীতিকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলে যেমন খুশি ছড়ি ঘোরানো। তবে জেনে রাখবেন, দুর্ঘটনাজনিত প্রধানমন্ত্রী দেশকে দেবে না বিজেপি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ভারতের জননেতার দায়িত্ব পালন করবেন।"
কংগ্রেস অবশ্য বিজেপি-র বক্তব্য মানতে নারাজ। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, "নরেন্দ্র মোদীর একজন সহযোগীর সঙ্গে সঞ্জয় বারুর এখন ওঠাবসা। বই প্রকাশের সময়টা দেখলে বুঝতে পারবেন, কার রাজনীতিক অ্যাজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করতে চাইছেন তিনি।" এ ছাড়াও দলের তরফে বইটিকে 'সস্তার গল্পকাহিনী' বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
তবে কংগ্রেস যতই অস্বীকার করুক, লোকসভা ভোটের আগেই ভালো রসদ পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় ভোটের প্রচারে গিয়েছে এ কথা বলছেন ছোটো-বড় বিজেপি নেতারাও।