এবার ED-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি সঞ্জয় রাউতের
এবার ED-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি সঞ্জয় রাউতের
তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) বারবার হয়রানি করছে! এরকমই অভিযোগ এনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি লিখলেন শিবেসেনা সাংসদ এবং মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। রাউতের দাবি, ইডি এবং অন্য কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী এজেন্সিগুলি এখন একটি রাজনৈতিক দলের হাতের পুতুলে পরিনত হয়েছে৷ রাউতের আরও দাবি যে ইডির অনেক উর্ধ্বতন অফিসার তাঁকে জানিয়েছেন যে তাঁদের উপর চাপ আছে সঞ্জয় রাউতকে ফাঁসানোর জন্য৷
কী অভিযোগ সেনা নেতার?
রাউতের আরও অভিযোগ যে ইডির অফিসাররা তাঁর উপর চাপ তৈরি করছে যে যদি তিনি মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে একটি বিশেষ দলকে সাহায্য না করেন তাহলে তাঁর যাবৎ জীবন জেলের ব্যবস্থা করা হতে পারে! তবে এই প্রথম নয়, বিজেপির সঙ্গে ২৫ বছরের গাঁটছড়া ভেঙে কংগ্রেসের হাত ধরার পর থেকেই কেন্দ্র ও কেন্দ্র সরকারের অধীনস্থ এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আসছেন সঞ্জয় রাউত সহ সেনার একাধিক নেতা। এর আগে পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনতে দেখা গিয়েছিলেন রাউতদের৷
সংবাদমাধ্যমকে কী বললেন সঞ্জয় রাউত?
একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, প্রায় এক মাস আগে, কিছু লোক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা চেয়েছিল মহারাষ্ট্রে সরকার ভেঙে ফেলতে আমি তাদের সাহায্য করি। তারা চেয়েছিল যে আমি তাদের এই ধরনের প্রচেষ্টায় ভূমিকা রাখি যাতে রাজ্যে আবার একটি নির্বাচন করা যায়। সে সময় আমি ওই গোপন এজেন্ডা অনুসরণ করতে অস্বীকার করেছিলাম। এরপর আমাকে সতর্ক করা হয়েছিল যে আমার প্রত্যাখ্যানের ফলে আমাকে খুব ভারী মূল্য দিতে হতে পারে।'
নাম না করে বিজেপিকেই তোপ রাউতের!
সঞ্জয় আরও বলেন, এমনকি আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার ভাগ্য একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর মতো হতে পারে যিনি বহু বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। আমাকে সতর্ক করা হয়েছিল যে আমি ছাড়াও মহারাষ্ট্র রাজ্যের মন্ত্রিসভার অন্য দুই সিনিয়র মন্ত্রীর পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের দুই সিনিয়র নেতাকেও পিএমএলএ আইনের অধীনে কারাগারে পাঠানো হবে যা রাজ্যে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিকে পরিচালিত করবে। মহারাষ্ট্র রাজ্যের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কারাগারের পাঠানোর পরিকল্পা শোনানো হয়েছিল৷