মহারাষ্ট্রের সমীকরণ বদলের পর রাহুল গান্ধীকে সভাপতি করার দাবি কংগ্রেস নেতার
আজ সকালেই কংগ্রেস ও শিবসেনাকে অন্ধকারে রেখে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ নেন অজিত পাওয়ার। এরপরই তোলপাড় শুরু হয় মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে। এদিকে এই ঘটনার পর কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতি ভেঙে দেওয়ার দাবি তুললেন প্রাক্তন মুম্বই কংগ্রেস প্রধান সঞ্জয় নিরুপম। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকে ফের একবার দলের রাশ ধরার আবেদন জানালেন সঞ্জয়।
অজিত পাওয়ারের বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠনের বিষয়টিতে কংগ্রেসের সম্মানহানী হয়েছে বলে দাবি করেন সঞ্জয় নিরুম। তিনি অভিযোগ করেন কংগ্রেস পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা হাসিতের চেষ্টা করছিল। পাশাপাশি কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির উপর প্রশ্ন চিহ্ন তুলে তিনি বলেন, "সনিয়া গান্ধীকে কী উপদেশ দিয়েছিল কারযকরী সমিতি? আমি সনিয়া গান্ধীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই কার্যকরী সমিতিকে ভেঙে দেওয়া হয়। সমিতিতে থাকা আর কাউকেই এখন ভরসা করা যায় না। পাশাপাশি দলের স্বার্থের কথা ভেবে রাহুল গান্ধীর উচিত দলের রাশ নিজের হাতে তুলে নেওয়া। এই মুহূর্তে একমাত্র তিনি পারেন দলের নৈতিকতা বজায় রেখে দলকে পরিচালনা করতে। কংগ্রেস পিছনের দরজা দিয়ে ঢোকা দল না।"
তিনি কার্যকরী সমিতি সদস্য আহমেদ প্যাটেল ও কেসি বেণুগোপাল ছাড়াও মল্লিকার্জুন খার্গের সমালোচনা করেন। সঞ্জয় বলেন, "আহমেদ প্যাটেল ও কেসি বেণুগোপাল মলত দিল্লির রাজনীতির সঙ্গে অবগত। তবে মল্লিকার্জুন খার্গে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির সঙ্গে অবগত। তিনি কী করে হাইকমান্ডকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেন?" পাশাপাশি শরদ পাওয়ারের সমালোচনাতেও মুখর হন তিনি। রাহুল গান্ধীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধী একবার বলেছিলেন যে 'পাওয়ার' (ক্ষমতা) বিষাক্ত। সত্যি বলতে, 'পাওয়ারও' (শরদ পাওয়ার) বিষাক্ত।"
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে দলকে সতর্ক করেছিলেন মহারাষ্ট্রের এই কংগ্রেস নেতা। এই বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিতে বুধবার টুইট করেছিলেন তিনি। ক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশে বিএসপি-র সঙ্গে জোট গঠন করে দল ভুল করেছিল। সেই সময় থেকে উত্তরপ্রদেশে দল এত বাজে ভাবে হেরেছে, সেখানে এমন ভাবে মেরুদণ্ড ভেঙেছে যে এখনও সেখানে কংগ্রেস উঠে দাঁড়াতে পারেনি। শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমরা মহারাষ্ট্রেও একই ভুল করছি। শিবসেনার সরকারে তৃতীয় হয়ে থাকা কংগ্রেসকে কবর দেওয়ার সমান। কংগ্রেসের জন্য এটাই মঙ্গলের যে তারা যাতে কোনও করম চাপে এসে শিবসেনার সঙ্গে হাত না মেলায়।