কংগ্রেসে বিদ্রোহ! মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ঠিক আগে হাইকমান্ডকে হুঁশিয়ারি সঞ্জয় নিরুপমের
সোনিয়ার আমলে রাহুল ঘনিষ্ঠরা ‘একঘরে’, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তোপ সঞ্জয় নিরূপমের। মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেসে কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেসে কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। দলের হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে তোপ দেগে দলের পক্ষে প্রচার না চালানোর ঘোষণা করেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সঞ্জয় নিরুপম। সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দল চালানোর পদ্ধতি নিয়েই তিনি সমালোচনা করেন।
দিল্লির নেতাদের রাজনৈতিক ধ্যান ধারণা নিয়ে প্রশ্ন
সাংবাদিক সম্মেলন করে সঞ্জয় নিরুপম জানান, দিল্লির নেতাদের রাজনৈতিক ধ্যান ধারণা ও বাস্তবতা সম্পর্কে বোধবুদ্ধির অভাব রয়েছে। তাই অবিবেচকের মতো কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা। এর ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যে। এভাবে চললে কোনওদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না কংগ্রেস।
নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে থাকার ঘোষণা নিরূপমের
এই মর্মেই তিনি নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে থাকার কথা ঘোষণা করেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব নিচুতলার দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে মতামত নেওয়ারও কোনও চেষ্টা করে না। তাঁর অভিয়োগ, এ ধরনের কোনও ব্যবস্থা নেই কংগ্রেসে। তাই সাধারণের কাছ থেকে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে কংগ্রেস।
দল ছাড়তেও বাধ্য হবেন, হুঁশিয়ারি নিরূপমের
সঞ্জয় নিরুপম বলেন, যদি খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি আরও বদলে না যায় তবে তিনি দল ছাড়তেও বাধ্য হবেন। আমি আমি পার্টি ছেড়ে যেতে চাই না, কিন্তু পার্টি যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে আমি বেশিদিন দলে থাকতে পারব বলে মনে করি না। তাই আমি আপাতত প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাহুল গান্ধীর প্রতি অনুগতদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
সঞ্জয় নিরুপম অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠরা রাহুল গান্ধীর প্রতি অনুগত নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। রাহুল গান্ধীর সাথে জড়িতরা সবাই পদ্ধতিগতভাবে শেষ হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় যারা বসে আছেন তারা পক্ষপাতদুষ্ট। তাঁরা কেবল অন্যদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শেষ করতে চান।
২০ জন প্রার্থীর টিকিট প্রত্যাখ্যান হাইকমান্ডের
নিরুপমের অভিযোগ, প্রায় ২০ জন প্রার্থীর টিকিট প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এবং হাইকমান্ডের ভবিষ্যদ্বাণী, তাঁরা আসন্ন নির্বাচনে খারাপভাবে হেরে যাবে।এরপরই টুইট করে নিরুপম জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তিনি মুম্বাইয়ের একটি মাত্র নাম দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। তাও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তাই তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন প্রচার পর্ব থেকে।