খুল্লামখুল্লা বিদ্রোহে জেরবার গান্ধী পরিবার! বরিষ্ঠ সঞ্জয় ঝার তোপে আরও চওড়া কংগ্রেসের ফাটল
দলবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বরিষ্ঠ নেতা তথা দলের প্রাক্তন মুখপাত্র সঞ্জয় ঝাকে কংগ্রেস পার্টি থেকে বরখাস্ত হয় মঙ্গলবারই। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কারণে রাজস্থানের ডেপুটি সিএম পদে থেকে সরানো হয় সচিন পাইলটকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সঞ্জয় ঝা-কে।
সঞ্জয়ের বিদ্রোহ
এদিকে সচিন পাইলট এখনও জনসমক্ষে আসেননি। তাঁর হয়ে সচিনের পাইলটের অফিস বয়ান দিয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। তবে সঞ্জয়ের কাছে লুকোচুরির কোনও বিয় নেই। দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে এবার আরও খুল্লামখুল্লা ভাবে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন এই সদ্য প্রাক্তন হওয়া কংগ্রেস নেতা।
আমি কোনও পরিবারের অনুগত নই
দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সঞ্জয় ঝা গান্ধীদের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করার ভঙ্গিতে জানিয়ে দেন, 'আমি কংগ্রেস ভাবদর্শনের অনুগত। আমি কোনও পরিবারের অনুগত নই।' এর আগেও সঞ্জয় ঝা বলেছিলেন যে তিনি নেহরুর রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাস করেন।
সচিন-গেহলট দ্বন্দ্বে সঞ্জয়ের দাবি
এদিকে সচিন-গেহলট দ্বন্দ্বের মাঝে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা বলেছিলেন, সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। এবং দুর্বল রাজ্যগুলিকে পুনরুদ্ধার করতে অশোক গেহলটকে সিনিয়র সাংগঠনিক ভূমিকা দেওয়াই সঠিক হবে। তারপর তিনি আরও একটি টুইট করেন। সেখানে লেখেন প্রথম জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, তারপর পাইলট, এরপর কে? তার প্রত্যুত্তরেই সরিয়ে দেওয়া হয় প্রবীণ নেতাকে।
কংগ্রেসে একঘরে করা হয় সঞ্জয়কে
প্রসঙ্গত, এ মাসের শুরুতে ঝা অল ইন্ডিয়া প্রদেশ কংগ্রেসের মহারাষ্ট্র ইউনিটের সভাপতির পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি বলেন, "আমার রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক স্পষ্টবাদ বিরোধিতা করে"।
কংগ্রেসের মুখপাত্র হিসাবে অপসারণ করা হয়েছিল
তার আগে জুনে তাঁকে কংগ্রেসের মুখপাত্র হিসাবে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনি দলের সমালোচনা করে একটি সংবাদপত্র নিবন্ধ লেখার কয়েকদিন পরেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তরফে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। অর্থার একই দিনে দুই প্রদেশ সভাপতি অপসারিত হলেন কংগ্রেস থেকে।
সমীকরণ থেকে বাদ বিজেপি! রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুলে সবাইকে চমকে দিলেন সচিন পাইলট