হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ুন, 'সন্দেশে' মজবে এবার দেশ! এক নজরে অ্যাপের খুঁটিনাটি
সন্দেশে মজবে এবার দেশ! তবে এই সন্দেশ খাওয়ার নয়। চ্যাট করার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় মেসেঞ্জিং অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপ। দেশ বিদেশে কয়েক মিলিয়ন ইউজার। এবার জনপ্রিয় এই সোশ্যাল অ্যাপকে টেক্কা দিতেই
সন্দেশে মজবে এবার দেশ! তবে এই সন্দেশ খাওয়ার নয়। চ্যাট করার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় মেসেঞ্জিং অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপ। দেশ বিদেশে কয়েক মিলিয়ন ইউজার। এবার জনপ্রিয় এই সোশ্যাল অ্যাপকে টেক্কা দিতেই বাজারে আসতে চলেছে 'সন্দেশ'!
একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে এই অ্যাপকে তৈরি করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর লোকসভাতে এমনটাই জানিয়েছেন।
প্লাটফর্ম হবে দেশের প্রথম ম্যাসেজিং অ্যাপ
হোয়াটস অ্যাপ ফেসবুকের মালিকানাধীন। কিন্তু নতুন এই প্লাটফর্ম হবে দেশের প্রথম ম্যাসেজিং অ্যাপ। সন্দেশে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সরকারি কর্মীদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে এই অ্যাপকে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত এজেন্সি যেগুলি সরকারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা চালাতে সন্দেশ অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার একটা শাখা হল The National Informatics Centre। তারাই এই অ্যাপটিকে তৈরি করেছেন। যেটি হোয়াটস অ্যাপের মতোই কাজ করে। ইমেল কিংবা ফোন নম্বরের সাহায্যে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
একাধিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া রয়েছে
শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার জন্যে এই অ্যাপ অসাধারণ, বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, The National Informatics Centre এই অ্যাপটিকে একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। সন্দেশ ম্যাসেঞ্জিং অ্যাপ সবদিক থেকে সুরক্ষিত। হোয়াটস অ্যাপের মতো সন্দেশেও একাধিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া রয়েছে। অর্থাৎ সন্দেশের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে। এক এবং গ্রুপের মাধ্যমে চ্যাট করা যাবে। এছাড়াও ফাইল এবং মিডিয়া শেয়ারিং, অডিও এবং ভিডিও কল সহজেই করা যাবে দেশীয় এই অ্যাপের মাধ্যমে। এই অ্যাপ সরকারি হওয়ার জন্যে e-gov application দেওয়া রয়েছে। অর্থাৎ এই অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনও সরকারি ক্ষেত্রে আবেদন করা যাবে।
সহজেই এই অ্যাপ ফোনে ডাউনলোড করা যাবে
গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপ স্টোর থেকে সহজেই এই অ্যাপ ফোনে ডাউনলোড করা যাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, সন্দেশ সরকারের একটি প্রচেষ্টা। আগামিদিনে ভারত এবং ভারতীয়দের আরও দেশীয় প্রযুক্তিতে অ্যাপ বানাতে আরও উৎসাহ দেবে বলে মনে করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সফটওয়্যার বানাতেও এই অ্যাপ যথেষ্ট সাহায্য করবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উল্লেখ্য, এর আগে কু বলে একটি অ্যাপ তৈরি করে ভারত। মাইক্রোব্লগিং প্লার্টফর্ম টুইটারকে টেক্কা দিতে এই কুয়ের ব্যবহার। এখন দেখার সন্দেশ কতটা নজর কারে নেটিজেনদের।