এবার পাতে লবণ নাও জুটতে পারে, নতুন সংকটের পথে পা বাড়াচ্ছে দেশ
এবার পাতে লবণ নাও জুটতে পারে, নতুন সংকটের পথে পা বাড়াচ্ছে দেশ
লকডাউনের বাজারে হেঁসেলে নতুন সংকট হানা দিতে চলেছে। স্বাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লবণে ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশে। লকডাউনের কারণে থমকে গিয়েছে লবন প্রোডাকশন। যার প্রভাব পড়েছে দেশের লবণ ভাণ্ডারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগামী কয়েক মাসে দেশে লবন সংকট প্রবল আকার নেবে বলে আঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
লবন সংকট
করোনা লকডাউনের কারণে দেশের উপকূলবর্তী এলাকায় লবন উৎপাদন থমকে গিয়েছে। আর দেশের লবনের চাহিদা একই জায়গায় রয়ে গিয়েছে। উৎপাদন আর চাহিদার মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য থাকছে না। যার ফলে ভান্ডারে টান পড়ছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশে লবণ সংকট তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
লবন উৎপাদনে ঘাটতি
দেশে স্বাভাবিক লবনের চাহিদা বছরে ৯৫ লাখ টন। ভারতে উৎপাদন হয়ে থাকে ১১০ থেকে ১৩০ লাখ টন। তারমধ্যে বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে ৫৮ থেকে ৬০ লাখ টন। শুধু খাবারের জন্যই নয় শিল্পক্ষেত্রেও লবণ ব্যবহার হয়ে থাকে। তেল পরিশোধনাগার থেকে শুরু করে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, সৌরশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র, বস্ত্র শিল্পেও লবনের ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু করোনা লকডাউনের কারণে একাধিক রাজ্যে লবন উৎপাদনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গুজরাট, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গেও লবন উৎপাদন অনেকটাই কমে গিয়েছে।
অর্থনীতি সংকটে
করোনা লকডাউনের কারণে দেশের অর্থনীতি প্রায় থমকে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মদের দোকান খোলা হয়েছে। পেট্রোল ডিজেলের দামের উপর কর চাপানো হয়েছে। কিন্তু একাধিক শিল্পক্ষেত্রে এখনও উৎপাদন শুরু হয়নি। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতিতে।
মদ বিক্রিতে লাভ
গত কয়েক দিনে গোটা দেশে মদের দোকানের সামনে বিপুল লাইন পড়েছে। তিন-চার দিনেই গোটা দেশে মদ বিক্রি করে বিপুল টাকা কোষাগারে ভরেছে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার। তবে তাতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়েছে। কারণ মদের দোকানে লাইন দেওয়ার সময় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানা হচ্ছে না কোথাও।
বিশাখাপত্তনম গ্যাস লিক কাণ্ডে মৃত বেড়ে ১১, পরিবার পিছু ১ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য