কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা : যোধপুর আদালতে বেকসুর খালাস সলমন খান
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা নিয়ে তৃতীয় মামলায় সলমন খানকে এদিন বেকসুর খালাস করল যোধপুর আদালত।
যোধপুর, ১৮ জানুয়ারি : কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা নিয়ে তৃতীয় মামলায় সলমন খানকে এদিন বেকসুর খালাস করল যোধপুর আদালত। মামলার রায়দানে উপস্থিত থাকতে মঙ্গলবারই বিশেষ চার্টার্ড বিমানে যোধপুরে পৌঁছে যান সলমন খান। এই নিয়ে মোট চারটি মামলার তিনটিতে বেকসুর খালাস পেলেন তিনি।[চিনকারা কাণ্ড : সলমনই হরিণ শিকার করেছিলেন, দাবি অন্যতম সাক্ষীর]
১৯৯৮ সালে যোধপুরের জঙ্গলে সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে হরিণ শিকার করেন সলমন খান ও তার সহ অভিনেতা-অভিনেত্রী বন্ধুরা। সেই দলে ছিলেন সঈফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম, তাব্বুর মতো শিল্পীরা। অভিযোগ ছিল, লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও অবৈধভাবে অস্ত্র রাখা সহ হরিণ শিকারের মতো ঘোরতর অপরাধ করেছেন সলমন।[কৃষ্ণসার হরিণ সহ দুটি পশু হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস সলমন খান]
যদিও সলমন এই ঘটনায় নিজেকে এর আগেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা করেছেন। এই মামলায় গত ৯ জানুয়ারি ট্রায়াল কোর্টের শুনানি শেষ হয়। এরপর এদিন মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত।[(ছবি) বলিউড তারকাদের বিদেশি প্রেম]
সওয়াল-জবাবের সময়ে সরকারি পক্ষের তরফে দাবি করা হয়, সলমন খানের বিরুদ্ধে বন দফতর যে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করেছিল তাতে সলমনে অপরাধ প্রমাণিত হয়। ১৯৯৮ সালে সলমনের বিরুদ্ধে .২২ রাইফেল ও .৩২ রিভলভার দিয়ে দুটি কৃষ্ণসার হরিণকে মারার অভিযোগ ওঠে। যোধপুরের কঙ্কনি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছিল।
মোট চারটি চোরাশিকারের মামলা ছিল সলমনের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে হাইকোর্ট ২টি মামলায় সলমনকে আগেই মুক্তি দেয় হাইকোর্ট। তৃতীয় মামলাটিতেও সলমনকে বেকসুর খালাস করা হল। যে দুটি অভিযোগ ছিল তাতে সর্বোচ্চ সাজা ৩ ও ৭ বছরের কারাবাস হতে পারত। যদিও ফের একবার বেকসুর খালাস পেলেন সলমন।