সলমন খানের পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা করল আদালত
মুম্বই, ৬ মে : ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মদ্যপ অবস্থায় নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন সলমন খান। মন্তব্য মুম্বই দায়েরা আদালতের বিচারকের। সকাল ১১ টা ৭ মিনিট নাগাদ রায় দেয় দায়েরা আদালত। স্বভাবতই বিচারকের এই মন্তব্য বিপক্ষে গেল সলমনের। দোষী সাব্যস্ত হলেন সলমন খান। সলমন খানের পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা করল আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে আদালত।
বিচারক সলমন খানকে বলেন, সেদিন মদ্যপ অবস্থায় আপনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তা প্রমাণিত। লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছিলেন আপনি। [২০০২ সালে দুর্ঘটনার সময় সলমন খানের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না?] আপনার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত। এবিষয়ে সলমনের কিছু বলার আছে কি না জানতে চান বিচারক। বিচারকের প্রশ্নে কোনও উত্তর দেননি সলমন। শুধুমাত্র উকিলের দিকে তাকান। পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সলমন খানের হিট অ্যান্ড রান মামলায় আজ আদালতে রায়দান
মুম্বই, ৬ মে : ২০০২ সালে সলমন খানের বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর ঘটনায় আজ মুম্বই আদালতে রায়দান। অভিনেতাকে আজ সকাল ১১টা ১৫ মিনিটের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সলমনের। [হিট অ্যান্ড রান মামলা : সলমনের সাজা হলে ডুববে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা]
অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৩ বছর আগে মদ্যপ অবস্থায় নিজের এসইউভি গাড়ি ফুটপাতে চড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। সলমনের বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ রয়েছে।
যদিও একাধিকবার এই মামলার মোড় বদল হয়েছে। সলমনের গাড়ির চালক অশোক সিং ঘটনার পুরো দায় নিজের কাঁধে নেন। ১২ বছর পর তাঁর দাবি ছিল, সেদিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনিই।[হিট অ্যান্ড রান মামলা: এই ১২ বছর কেন চুপ ছিলেন সলমন খানের গাড়ির চালক ?]
এদিকে সেদিন সলমন মদ্যপ ছিলেন কি ছিলেন না তা নিয়েও বহু বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। [দুর্ঘটনার দিন সলমন খান মাতাল ছিলেন কিনা তা নিয়ে দ্বিমত!]
১২ বছর ৭ মাস ধরে এই মামলার ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আজ সেই মামলার রায়দান হয়। স্বভাবতই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, আদালতের রায়ে সলমন খানের কতদিনের সাজা হয়। শেষ পর্যন্ত ৫ বছরের সাজা হল সলমনের।