১৯৮৪-র শিখ-নিধনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সজ্জন কুমারের আত্মসমর্পণ, ৩৪ বছর পর জেল
শিখ বিরোধী হিংসায় সাজাপ্রাপ্ত সজ্জন কুমার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। সোমবার দিল্লির একটি আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সজ্জন কুমারকে মন্ডোলি জেলে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
শিখ বিরোধী হিংসায় সাজাপ্রাপ্ত সজ্জন কুমার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। সোমবার দিল্লির একটি আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সজ্জন কুমারকে মন্ডোলি জেলে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। উল্লেখ্য, তিনি আত্মসমর্পণের জন্য আরও ৩০ দিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। তারপর এদিন তিনি আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট ১৯৮৪-র শিখ নিধনে যুক্ত থাকায় সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন। ১৯৮৪-র ১ নভেম্বর রাজনগরের এক পরিবারের পাঁণচদনকে হত্যা ও গুরুত্বারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাঁকে সাজা দেয় আদালত। সাজা ঘোষণার পর অন্তত ৩০ দিন সময় চেয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে ছুটিতে রয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টে তিনি আবেদন করতে পারেননি। সেজন্য যদি হাইকোর্টে আবেদন করে সময় পেয়ে যেতেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টে রায়কে চ্যালেঞ্জ করার সময় পেয়ে যেতেন। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করায় তাঁকে জেলে যেতে হল।
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা ছিলেন সজ্জন কুমার। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দেহরক্ষীর গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নিধন হয়। ওই বছরেই শিখ দাঙ্গা বাঁধে তারপর। মৃত্যু হয় ২৮০০ জনের। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন সজ্জন কুমার। এতদিনে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়।