চার্চের দরজায় লেখা 'মন্দির ইয়াহীঁ বনেগা'! গুজব না সত্যি
কলুষিত চ্যাপেলের দরজার ছবি নিয়ে দিল্লির কলেজে বিতর্ক। পুলিশের দাবি গুজব।
শনিবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের চ্যাপেলের দরজা ও চত্তরে থাকা একটি ক্রশ কলুষিত করার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে সারাদিন ক্যাম্পাসে চলে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা। কিন্তু পরে দিল্লি পুলিশ জানায় সেটি নেহাতই 'গুজব'।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে প্রচার জোরদার কংগ্রেসের, আসছেন সোনিয়া]
পুলিশ ঘটনাটি গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও শনিবার সারাদিন কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের হাতে হাতে ছড়িয়েছে ওই ছবি। ক্যাম্পাসে এমন একজনও ছিলেন না যিনি ওই ছবি দেখেননি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, সবাই ছবিটিই দেখেছেন, সত্যিই এরকম কিছু ঘটেছ কিনা, তা কারোরই জানা ছিল না।
কি
ছিল
ওই
ছবিগুলিতে?
কংগ্রেসের
সমর্থিত
ন্যাশনাল
স্টুডেন্টস
ইউনিয়ন
অব
ইন্ডিয়া
(এনএসইউআই)-র
দাবি,
একটি
ছবিতে
দেখা
গেছে
চ্যাপেলের
দরজায়
লেখা
রয়েছে
'মন্দির
ইয়াহীঁ
বনেগা'
(মন্দির
এখানেই
হবে)।
ক্রসটি
রয়েছে
চ্যাপেল
সংলগ্ন
কবরস্থানের
সামনে।
আরেক
ছবিতে
দেখা
গেছে
ক্রসের
গায়ে
লেখা
আছে
'আমি
নরকে
যাচ্ছি'।
সঙ্গে
ছিল
'ওম'
চিহ্ন।
অখিল
ভারত
বিদ্যার্থী
পরিষদ
বলেছে,
এটা
সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের
মধ্যে
ভেদ
সৃষ্টি
করার
এবং
উত্তেজনা
ছড়ানোর
জন্য
করা
হয়েছে।
অঙ্কের শিক্ষিকা নন্দিতা নারাইন জানান, 'আমার অনেক ছাত্র ও সহকর্মীরা গ্রাফিতিটি দেখেছেন। আমি যদিও দেখিনি। কী ঘটেছে আর কী ঘটেনি তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, যে সময়ে ঘটেছে সেটা। কারণ এই সময়ে একের পর এক সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর হামলা হচ্ছে।'
কলেজের প্রিন্সিপাল জন ভার্ঘিস আপাতত ছুটিতে আছেন, তাই এব্যাপারে তাঁর মতামত জানা যায়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল কোষাধ্যক্ষ রেনিশ আব্রাহান এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে কলেজ থেকে এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এ ঘটনার তদন্ত ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে এনএসইউআই।
[আরও পড়ুন:আলিগড়ে ছবি বিতর্ক! এবার কার ছবি উধাও হল জানেন]