জলসংকট মোচনে নতুন দিশা দেখাতে ‘ঘর ঘর জল’ প্রকল্প ঘোষণা বাজেটে
‘ঘর ঘর জল’, অর্থাৎ দেশের প্রত্যেকটি ঘরে পৌঁছে যাবে পরিশ্রুত পানীয় জল। শুক্রবার দেশের জল সংকট মোচনে নতুন দিশা দেখালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেটে।
'ঘর ঘর জল', অর্থাৎ দেশের প্রত্যেকটি ঘরে পৌঁছে যাবে পরিশ্রুত পানীয় জল। শুক্রবার দেশের জল সংকট মোচনে নতুন দিশা দেখালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেটে। যে তীব্র জলসংকটে ভুগছে দেশ তার থেকে দেশবাসীকের পরিত্রাণ এনে দেবে এই প্রকল্প। ২০২৪ সালের মধ্যে তা পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হবে বলে জানানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এবছর চেন্নাই সহ গোটা তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান ও গুজরাটের একাংশে যে তীব্র জলকষ্টের ছবি ধরা পড়েছে তাতে শঙ্কিত গোটা দেশের মানুষ। এমনকী বিশ্ববাসীরও নজর টেনেছে ভারতের এই জলকষ্ট। দেশ বিদেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এমনকী হলিউডের অভিনেতা লিওনার্দো ডিকাপ্রিয় পর্যন্ত এই জলকষ্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে দেশের জলসংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জলশক্তি মিশন প্রকল্পের সূচণা করেছেন।
জলসংকট মোকাবিলায় দশের বিশিষ্টদের কাছে মতামত জানতে চেয়েছেন তিনি। জলসংরক্ষণ নিয়ে কারোর কাছে কোনও উপায় থাকলে সেটা সরকারকে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি।
স্বাভাবিক
ভাবেই
মোদী-টু
সরকারের
প্রথম
বাজেটে
জলের
যে
একটা
ভাগ
থাকবে
তা
বোঝাই
গিয়েছিল।
সেই
পথে
হেঁেটই
২০২৪
সালের
মধ্যে
ঘরে
ঘরে
জল
পৌঁছে
দেওয়ার
প্রকল্পের
কথা
বাজেটে
ঘোষণা
করেছেন
অর্থমন্ত্রী।
তবে
জল
সংরক্ষণের
সুনির্দিষ্ট
কোনও
দিশা
এই
বাজেটে
দেখাতে
পারেনি
মোদী
সরকার।
তাই
এই
'ঘর
ঘর
জল'
প্রকল্পে
দেশের
জলসংকট
কতটা
মিটবে
তা
নিয়ে
সন্দেহ
রয়েই
যাচ্ছে।
জল প্রকল্প ছাড়াও স্বচ্ছতা অভিযানে গ্রামে গ্রামে বর্জ শোধন প্রক্রিয়া চালু করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। মোদী-ওয়ান সরকারের স্বচ্ছভারত অভিযানযে ভীষণ ভাবে সফল হয়েছে তা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ৯৫ শতাংশ শহর এবং গ্রামে এখন শৌচাগার তৈরি হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সরকার এই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের উপর নজরদারি চালাবে।
[আরও পড়ুন: টার্গেট মধ্যবিত্ত! গৃহঋণে বাড়তি কর ছাড়ের ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ]