'শুধুমাত্র পাঞ্জাব না, জেগে উঠেছে গোটা দেশের কৃষকরা! কিন্তু কেন্দ্র এখনও ঘুমোচ্ছে '
শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর এদিন বললেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার এটা ভেবে ভুল করেছে যে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র পাঞ্জাবের কৃষকরাই আন্দোলন করছেন। আজ গোটা দেশের কৃষকরাই এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কৃষকদের দাবি মানতে নারাজ। সরকার এখনও ঘুমোচ্ছে।'
আজ কৃষকদের 'চাক্কা জ্যাম'
উল্লেখ্য, আজ কৃষকদের 'চাক্কা জ্যাম'৷ এর জেরে সিঙ্ঘু সীমান্ত, গাজিপুর সীমান্তের পাশাপাশি মিন্টো বিগ্রেড এলাকা ও আইটিও এলাকাতেও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ কৃষক আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতে গাজিপুর সীমান্তে জলকামানের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পুনরাবৃত্ত যাতে না হয়, সেজন্য লালকেল্লায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা৷
২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে হিংসা ছড়ায়
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংসদে বাদল অধিবেশনে তিনটি নতুন কৃষি আইন আনে কেন্দ্র৷ সেই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে ৪১টি কৃষক সংগঠন৷ তাদের সঙ্গে কেন্দ্রের এগারো দফা আলোচনা হয়েছে৷ কিন্তু রফাসূত্র মেলেনি৷ উল্টে ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে হিংসা ছড়ায়৷ লালকেল্লায় ঢুকে কৃষকরা পতাকা উত্তোলন করেন৷ এতে জাতীয় পতাকা ও লালকেল্লার অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে৷
কৃষক আন্দোলন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে
এদিকে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে দু'মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে৷ কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে পপ তারকা রিহানা, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গদের টুইট সেই কাজ করেছে৷ এবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে আসরে নেমেছে রাষ্ট্রসংঘও৷ এই নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। কৃষক আন্দোলনের ক্ষেত্রে সরকার এবং আন্দোলনকারী উভয় পক্ষের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সংযম আশা করছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন৷
মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত থাকা উচিত
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দফতর থেকে এই বিষয়ে একটি টুইট করা হয়৷ যেখানে বলা হয়েছে, 'চলতি কৃষক আন্দোলনে সরকার এবং আন্দোলনকারী উভয় পক্ষের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সংযম আশা করছি৷ অনলাইন এবং অফলাইনে শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত থাকা উচিত৷ মানবাধিকারের স্বার্থে এর সমাধান খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ৷'
একের পর এক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব মন্তব্য শুরু করেন
কৃষক আন্দোলন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব মন্তব্য শুরু করেছেন৷ যার চরম বিরোধিতা করেছে দেশের বিদেশ মন্ত্রক, রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে সিনে জগতের মানুষরা৷ হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া টুগেদার-এর মাধ্যমে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না৷