সংসদে টানা অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে সাংসদের আক্রমণের মুখে শচীন তেণ্ডুলকর ও রেখা
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে ২০১২ সালের এপ্রিলে শচীন ও রেখাকে মনোনীত করে। কিন্তু রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার পর থেকে রেখা মাত্র ৭ বার এবং শচিন মাত্র ৩ বার রাজ্যসভায় উপস্থিত ছিলেন। এত খারাপ উপস্থিতির হার আর কারও ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়নি।
এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছে সিপিএম। সিপিএমের তরফে জানতে চাওয়া হয় এই দীর্ঘকালীন অনুপস্থিতির জন্য কী এই দুই তারকা সাংসদ আগাম কোনও অনুমতি নিয়েছিলেন? তা যদি না হয় তাহলে দীর্ঘকালীন এই অুপস্থিতির খেসারত তাদের দেওয়া উচিত। শচীন ও রেখার আসন দুটি যোগ্য কোনও প্রার্থীকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সিপিএম।
পরিবারের চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তার কারণে সংসদে অনুপস্থিতি, জানিয়েছেন শচীন তেণ্ডুলকর
সচিন ও রেখার বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন এই দুই তারকাকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে, অনুষ্ঠানে, বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। তারকা সচিন তেন্ডুলকরের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে আর এক তারকা সাংসদ বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারও আওয়াজ তুলেছেন। তিনি বলেন, সংসদের সদস্যপদ কোনও ট্রফি নয়, সচিনের অবশ্যই সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকা উচিত।
এদিকে ক্রিকেট জগতের আর এক ব্যক্তিত্ব কীর্তি আজাদ জানিয়েছেন, "আমার মনে হয় শচীনের সংসদে অংশ নেওয়া উচিত। যখন ও খেলত, তখন একটাও অনুশীলনে ও অনুপস্থিত হত না।, এখন যখন ও অবসর নিয়েছে, এখন তো ওর আসাই উচিত।"
সংবিধানের ১০৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যদি সংসদের যে কোনও কক্ষের সদস্য ৬০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকে তাহলে তাদের আসন শূন্য হিসাবে গণ্য করা হয়, এবং অন্য কোনও প্রার্থীকে দিয়ে দেওয়া হয়। ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েনের কথায়, রাজ্যসভার একাধিক সাংসদ শচীন ও রেখার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল শচীন ৪০ দিন এবং রেখা ৩৬ দিন সংসদে অনুপস্থিত ছিলেন। সেক্ষেত্রে উল্লিখিত ২ সাংসদের কেউই সংবিধানের ১০৪ ধারা লঙ্ঘন করেননি। ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর শচীন এবং ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রেখা শেষবার সংসদে এসেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।