সমীকরণ থেকে বাদ বিজেপি! রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুলে সবাইকে চমকে দিলেন সচিন পাইলট
'আমি কোনও দিনই বিজেপিতে যোগ দেব না। আমার নাম বিজেপির সঙ্গে যুক্ত করার পিছনে আমাকে বদনাম করার চাল রয়েছে। হাই কমান্ডের কাছে আমাকে বদনাম করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।' দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে এভাবেই নাম না করে অশোক গেহলটকে আক্রমণ করলেন সচিন পাইলট। এর সঙ্গে ফের জল্পনা শুরু হল, তবে কি পাইলট তাঁর নিজের দল গঠন করবেন? নাকি নিজের বাবা রাজেশের মতো দলে থেকেই বিদ্রোহ করে যাবেন!
রাজস্থানে সংকটে পড়ে কংগ্রেস সরকার
সচিন পাইলটের বিদ্রোহে রাজস্থানে সংকটে পড়ে কংগ্রেস সরকার৷ গতকাল তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়৷ গত শনিবার তিনি দিল্লি উড়ে যাওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, সচিন কি বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন? সেই জল্পনা উড়িয়ে সচিন জানিয়ে দিলেন, তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন না৷ ভবিষ্যতে কী করবেন তা এখনও ভাবেননি৷ তবে রাজস্থানের মানুষের জন্য কাজ করতে চান বলে জানান সচিন৷
সচিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত
মঙ্গলবার রাজস্থান কংগ্রেস বিধায়কদের দ্বিতীয় বৈঠকে ঠিক হয় যে যারা বিদ্রোহ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে, নয়তো ভুল বার্তা যাবে দলীয় কর্মীদের কাছে। বৈঠকের পরেই রিসর্ট থেকে রাজ ভবনের জন্য রওনা দেন অশোক গেহলট এটা জানাতে যে মন্ত্রিসভায় কিছু ছাঁটাই হচ্ছে।
ক্যাবিনেট থেকে বাদ দেওয়া হয় সচিন পাইলটকে
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন ক্যাবিনেট থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে সচিন পাইলট, রমেশ মীনা ও বিশ্বেন্দ্র সিং। রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে সচিন পাইলটকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন গোবিন্দ সিং দোতাস্রা। সেবা দলের প্রধান ও যুব কংগ্রেস প্রেসিডেন্টও বদলেছে কংগ্রেস, কারণ বর্তমানে সেই পদগুলিতে আসীন নেতারা সচিন ঘনিষ্ঠ।
সিন্ধিয়ার পর সচিন পাইলটকেও হারাতে বসেছে কংগ্রেস?
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পর সচিন পাইলটকেও হারাতে হলে কংগ্রেসের জন্য তা হত বড় ধাক্কা। এই ধাক্কা খাওয়া থেকে বাঁচতে সচিন পাইলটকে দলে রাখার বিষয়ে মরিয়া ছিল কংগ্রেস। সিন্ধিয়া পর্বে যেই রাহুল গান্ধী চুপ ছিলেন, পাইলট পর্বে তিনি মুখ খুলে জানিয়েছইলেন পাইলট চিরকাল তাঁর মনের খুব কাছে ছিল। তবে এর পরও এদিন সচিনকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকেও সরানো হয় তাঁকে। তবে কেন এই পদক্ষেপগুলি। কী দাবি ছিল সচিন পাইলটের?
সচিন পাইলটের দাবি কী ছিল?
জানা গিয়েছে সচিন পাইলটের দাবি ছিল যে রাজস্থানের নির্বাচন এক বছর এগিয়ে নিয়ে আসা হোক। অর্থাৎ, ২০২৩-এর জায়গায় ২০২২-এই পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি জানান সচিন পাইলট। আগাম নির্বাচনের পাাপাশি সচিনের দাবি ছিল যে আগামী নির্বাচনে সচিনকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হোক কংগ্রেসের তরফে। এবং সেই ঘোষণা করা হোক আগামী বছর, অর্থাৎ, ২০২১ সালেই।
সচিন ঘনিষ্ঠদের অপসারণ
এদিকে সচিনপন্থী নেতাদের কংগ্রেসের তরফে পুরস্কৃত করা হোক, এমনই দাবি ছিল সচিনের। অর্থাৎ, শুধু মন্ত্রী পদে বহাল রাখা নয়, তাঁদেরকে কর্পোরেশন ও বিভিন্ন কমিটির প্রধান পদে নিয়োগ করতে হবে। এবং সচিনের দাবি ছিল যে অশোকের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অবিনাশ পাণ্ডেকে কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি পদ থেকে সরাতে হবে। তবে এখানে তো সচিনের জানা ছাঁটতে তাঁর ঘনিষ্ঠদেরই সরানো হল দল থেকে।
আরও বড় ধাক্কা চিনের! ভারতের পর বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে ব্রিটেন