মান-অভিমানের পর্ব শেষ মরুরাজ্যে! মাস্কের পিছনে মুচকি হাসি, করমর্দনে বরফ গলালেন গেহলট-পাইলট
দীর্ঘদিনের মান-অভিমান ও লড়াইয়ের অবসান। মরুঝড় শান্ত হয়ে রাজস্থান কংগ্রেসে এখন বরফ গলার ইঙ্গিত। আর সেই বরফ গলাতেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বাসভবনে পৌঁছলেন সচিন পাইলট। দুইজনকেই করমর্দন করতে দেখা গেল এদিন। মাস্কের পিছনে দুই জনের মুখেই হাসিও মনে হল।
আগামীকাল থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু
শুক্রবার, অর্থাৎ আগামীকাল থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে রাজস্থানে। তার আগে নিজেদের কৌশল ঠিক করার জন্যই এদিনের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই কিছুক্ষণ কথা বলতেও দেখা গেল পাইলট ও গেহলটকে। ভাবখানা এমন যেন এক মাস ধরে মান-অভিমানের পালা চলছিল তাঁদের মধ্যে। সেই পালা শেষ হয়ে গিয়েছে। শান্তি ফিরেছে।
ঘর ওয়াপসি হয়েছে সচিন পাইলটের
দিন দু'য়েক আগেই ঘর ওয়াপসি হয়েছে সচিন পাইলটের। আবার নতুন করে নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে রাজস্থান কংগ্রেস। কিন্তু, সেই পর্ব মিটতে না মিটতেই ফের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে অশোক গেহলট সরকার। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে গেহলত সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে বিজেপি। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে অধিবেশন।
জুলাইয়ে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সচিন
জুলাইয়ে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সচিন পাইলটের নেতৃত্বাধীন ১৮ কংগ্রেস বিধায়ক। সংকটে পড়ে গেহলত সরকার। একমাসের বেশি সময় ধরে চলে সেই টানাপোড়েন পর্ব। অবশেষে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির মধ্যস্থতায় দ্বন্দ্ব মেটে কংগ্রেসে। রাজ্যে ফিরে সচিন পাইলট জানিয়ে দেন, তিনি পদ নিয়ে চিন্তিত নন।
একাধিকবার বিজেপি-র বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হয়
গেহলট সরকারের এই সংকটকালে কংগ্রেসের তরফে একাধিকবার বিজেপি-র বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হলেও ক্ষমতা দখলের কোনও চেষ্টা করেনি বিজেপি। বরং কংগ্রেস সরকারের সংকট কোন দিকে যায় তা দূর থেকে লক্ষ্য করে গেছে । হয়ত সুযোগের অপেক্ষা করছিল তারা। অন্তত তাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সোমবার সমস্ত দূরত্বের অবসান ঘটিয়ে ফের এক ছাতার তলায় চলে আসে রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিজেপিকে গেহলটের হুঁশিয়ারি
এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার অধিবেশনের আগে মঙ্গলবার দলীয় বৈঠক বাতিল করে বিজেপি। এপ্রসঙ্গে গেহলত বলেন, 'ওরা হঠাৎ করে মিটিং বাতিল করল। ওরা বুঝতে পেরেছে যে ওদের ষড়যন্ত্র কাজ করেনি।'
স্বাধীনতা নয়, জুটেছিল পরাধীনতা! ১৪ অগাস্ট কালো দিবস পালন করবেন বালোচ-সিন্ধি-কাশ্মীরিরা