মরুঝড়ের মাঝে চিদাম্বরমকে ফোন সচিন পাইলটের! থ্রিলারে পরিণত রাজস্থানের নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহ
কংগ্রেস থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন সচিন পাইলট। এই পরিস্থিতিতে হাইকমান্ডের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর। তবে এই আবহেই সিনিয়র কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে ফোন করলেন সচিন পাইলট। আর এতেই অবাক রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

পাইলটকে কী বলেন চিদাম্বরম
সচিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়টি মেনে নেন চিদাম্বরম স্বয়ং। কী কথা হয় দুই জনের? এই বিশয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, 'আমি ওঁকে বললাম যে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন ওঁর সঙ্গে বসে কথা বলতে চাইছে তাহলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওঁর আলোচনায় বসা উচিত।'

আদালতে পাইলট
এদিকে রাজস্থানের রাজনীতিতে কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধের নাটক গড়িয়েছে আদালত কক্ষে। আর সেই পর্বে প্রথমেই একটা ছোটখাটো ধাক্কা খেয়েছেন সচিন পাইলট। পাইলট-সহ ১৯ বিধায়ককে দেওয়া স্পিকারের বরখাস্তের নোটিসকে চ্য়ালেঞ্জ করে রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পাইলট অনুগামী বিধায়ক পৃথ্বীরাজ মিনা। গতকাল দুপুর ৩টেয় এ মামলার শুনানি শুরু হয়। তবে সেই শুনানি মুলতুবি করা হয়।

১৯ জন বিধায়ককে মঙ্গলবার নোটিস পাঠান স্পিকার
উল্লেখ্য়, দলের হুইপ অমান্য় করে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক এড়িয়েছেন বিধায়করা। এই অভিযোগ জানিয়ে ১৯ জন বিধায়ককে মঙ্গলবার নোটিস পাঠান স্পিকার। এদিকে তা সত্ত্বেও পাইলটের জন্য় দরজা খোলা রেখেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও ঠিক সেসময়ই নাম না করে পাইলটকে খোঁচা দিয়ে যাচ্ছেন অশোক গেহলট।

সচিনকে ফেরাতে মরিয়া কংগ্রেস
সচিনকে দলে পুরনো হালে চাইলেও কংগ্রেস বুঝতে পারছে পথ আলাদা হয়ে গিয়েছে। সচিন হয়ত পুরনো রাস্তায় হাঁটবেন না আর। এই অবস্থায় ভঙ্গুর কংগ্রেস বুঝতে পারছে না কোন পথে সিদ্ধান্ত নিলে রাজস্থানে সরকার বাঁচানো যাবে বা রাজনৈতিক সঙ্কটমুক্তি ঘটবে। জানা গিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেসে ফিরলেও সচিনকে রাজস্থান থেকে সরিয়ে জাতীয় স্তরের কোনও পদে বসানো হবে। এবং সচিনকে ফিরে আসতে হবে নিঃশর্তভাবে।

গেহলটের বিরুদ্ধে সচিনের অভিযোগ
এর আগে সচিন পাইলট চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে বলেন, 'কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে রাহুল গান্ধী সরতেই অশোক গেহলট ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকা তাঁর বন্ধুরা আমাকে কোণঠাসা করতে শুরু করে। এর জেরে আমার পক্ষে আমার আত্মসম্মান রক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।'

গেহলটের পাল্টা আক্রমণ
যদিও অশোক গেহলট পাল্টা আক্রমণ করেন সচিনকে। তিনি বলেন, 'ষড়যন্ত্র হয়েছে, ঘোড়া কেনাবেচার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমাদের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আর প্রদেশ সভাপতি নিজে এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। আর উনি দাবি করছেন এসব কিছুই হয়নি।'

পাইলট-গান্ধী মুখোমুখি আলোচনার অপেক্ষা
অনেকই মনে করেছিলেন পাইলট-গান্ধী মুখোমুখি আলোচনায় হয়তো তিক্ততার বরফ কিছুটা হলেও গলতে পারে৷ কিন্তু তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধী কেউই আলোচনায় বসেছেন বলে কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি৷ এই ঘটনাক্রম অনেককেই সিন্ধিয়া পর্ব মনে করিয়ে দিচ্ছে। যদিও পাইলট নিজে দাবি করেছেন তিনি কোনও দিনও বিজেপিতে যোগ দেবেন না।

টিকটকের মালিকানা এবার আমেরিকার হাতে! ব্যাবসা বাঁচাতে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন সংস্থার?