
সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বড় অগ্রগতি, আজারবাইজান থেকে গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড
পঞ্জাবের গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালার হত্যা মামলায় বড় অগ্রগতি। এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড সচিন বিষ্ণোইকে আজারবাইজান থেকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত সচিন বিষ্ণোই ভারতের কুখ্যাত গ্যংস্টার হিসেবে পরিচিত। তিনি লরেন্স-বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। চলতি বছর মে মাসে তিনি গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসের হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, সচিন বিষ্ণোই দিল্লির সঙ্গম বিহার এলাকার একটি ঠিকানায় ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করেন। সেখানে সচিন বিষ্ণোইয়ের নাম লেখা রয়েছে তিলক রাজ টুতেজা। তাঁর বাবার নাম হিসেবে পাসপোর্টে লেখা রয়েছে ভীম সিং। হত্যার কাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী তিনি। সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার মাস খানেক আগে তিনি এই ভুয়ো পাসপোর্টের সাহায্যে দুবাই পালিয়ে যান। সেখান থেকে তিনি আজারবাইজানে যান। বর্তমানে নিারাপত্তা সংস্থার কর্মীরা তাঁকে বিদেশে আটক করেছেন।
শুভদীপ সিং সিধু, সিধু মুসেওয়ালা নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। চলতি বছরের ২৯ মে তাঁকে পঞ্জাবের মনসা জেলায় গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তদন্তের তিন মাস পরেও সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। কিছুদিন আগেই সিধু মুসের মা বলেন, তিনি ও তাঁর স্বামী সন্তানের ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করবেন। বাড়িতে সিধু মুসেওলার অনুগামীদের সামনে চরণ সিং কৌর বলেছিলেন, তাঁদের ছেলেকে হত্যার ঘটনার বেশ কয়েকমাস কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আসল অপরাধীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এবার ছেলের জন্য ন্যায় বিচার চেয়ে তাঁরা আন্দোলন শুরু করবেন বলেও হুমকি দেন।
১৪ অগাস্ট সিধু মুসেওলার বাবা বলকাউর সিং বলেন, ছেলে যাদের বন্ধু মনে করতেন, বিশ্বাস করতেন, তাঁরাই একদিন ছেলের সব থেকে বড় শত্রু হয়ে উঠবেন, তা তিনি কল্পনা করতে পারেননি। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে সিধু মুস নিজের প্রতিভা দিয়ে, নিজের গান দিয়ে সারা বিশ্বে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তিনি ধীরে ধীরে মুসেওলার সমস্ত বন্ধুবেশী শত্রুদের নাম প্রকাশ্যে আনবেন বলেও হুমকি দেন।
নিরাপত্তা কমিয়ে নেওয়ার পর সিধু মুসেওয়ালাকে মে মাসের ২৯ তারিখে খুন করা হয়। খুনের সময় তিনি গাড়িতে চালকের আসনে ছিলেন। খুন হওয়ার আগে মুসেওয়ালা বেশ কয়েকবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেছিলেন, কানাডা থেকে খুনেক হুমকি পাচ্ছিলেন। সিধুকে লক্ষ্য করে মোট সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সময় সিধুর সঙ্গে দুই সঙ্গী ছিলেন। তাঁরাও গুরুতর আহত হয়েছিলেন বলে খবর।