চিনা নজরদারি নিয়ে কংগ্রেসের আক্রমণ ভোঁতা করতে ময়দানে জয়শঙ্কর! কী জানালেন বিদেশমন্ত্রী?
বাদল অধিবেশনে চিন নিয়ে মুখ খুলে কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ তিনি বলেছিলেন, 'আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী , সাংবাদিক, দেশের নাগরিক প্রত্যেকেই চিনের নজরে রয়েছেন৷ আমি জানি না এর থেকে বেরোনোর কোনও রাস্তা আছে কি না?' কংগ্রেসের তরফে উত্থাপিত সেই প্রশ্নের জবাবে অভয় প্রদান করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই চিনের নজরদারি প্রসঙ্গে তদন্ত রিপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে।

ভারত-চিন সীমান্তে সংঘাতের পরিস্থিতি
ভারত-চিন সীমান্তে সংঘাতের পরিস্থিতি এখনও প্রশমিত হয়নি। এদিকে দফায় দফায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক চিনা অ্যাপ বাতিল করেছে কেন্দ্র। ভারতের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে ক্ষতিকর বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে চিনের একাধিক তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে বলে খবর সামনে আসে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগে বিরোধী দলগুলি।

শেনহুয়ার নজরদারিতে ১০ হাজার ভারতীয়
চিনের শেনঝেনে অবস্থিত তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা শেনহুয়া লিমিটেডের হাতে রাজনীতি, বিনোদন, ক্রীড়াজগৎ, সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে বেশ কিছু অপরাধীদের সম্পর্কেও তথ্য রয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ১০ হাজার মানুষের উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিনের এক তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা। তালিকায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরও।

কেন্দ্রকে কংগ্রেসের তোপ
অধীর চৌধুরী এই বিষয়ে সংসদে বলেছিলেন, 'আমাদের দেশে কোরোনার সংক্রমণ চিন থেকে এসেছে৷ লাদাখেও আক্রমণ করেছে চিন ৷ এখন ডিজিটাল আগ্রাসনও করছে তারা৷ কিন্তু এরপরও আমাদের জাতীয় সুরক্ষা নেই৷ ক্রমাগত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেশের জাতীয় সুরক্ষা৷ আমার আইটি মন্ত্রী কাছে অনুরোধ এই বিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিৎ৷' তাছাড়া কেন্দ্রকে এই ইস্যুতে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কে সি বেনুগোপাল।

কী জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর?
কংগ্রেসের বহুমুখি আক্রমণের জবাবে এস জয়শঙ্কর মাথা ঠান্ডা রেখে জানিয়ে দেন, একটি চিনা সংস্থা কয়েক হাজার ভারতীয়ের অনলাইন কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্তের কাজ শেষ করা হবে।
ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হাত মেলাবে ভারত! চিনের ঘুম কেড়ে নিয়ে চলবে যৌথ নৌমহড়া