অপুষ্টিতে ভুগছে গ্রামীণ ভারত, ৬০ শতাংশ ভারতীয়ের জোটে না পুষ্টিকর খাদ্য, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
অপুষ্টিতে ভুগছে গ্রামীণ ভারত, ৬০ শতাংশ ভারতীয়ের জোটে না পুষ্টিকর খাদ্য, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
সবকা সাথ সবকা বিকাশ এই মন্ত্রই বারবার উচ্চারণ করতে শোনা গিয়েছে মোদী সরকারকে। কিন্তু গ্রামীণ ভারত নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ইউনাইটেজ েনশনস ফুড অ্যান্ড এগরিকালচারের রিপোর্টে ফাঁস হয়ে গিয়েছে সত্যিটা। তাতে দেখা গিয়েছে ৬০ শতাংশ গ্রামীণ ভারতের জোটেনা পুষ্টিকর খাদ্য। তাঁদের পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহের ক্ষমতাই নেই।
পুষ্টিকর খাদ্য নেই গ্রামীণ ভারতে
গণতন্ত্রই হোক বা রাজনীতিই হোক। গ্রামীণ ভারতের ভূমিকা তাতে সিংহভাগ। সেই গ্রামীণ ভারতই নাকি অপুষ্টিতে ভুগছে। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহের ক্ষমতা নেই তাঁদের। রাষ্ট্র পুঞ্জের সংগঠন ফুড অ্যান্ড এগরিকালচারের রিপোর্টে ফাঁস হয়ে গিয়েছে সত্যিটা।
পুষ্টিকর খাদ্য ক্রয়ের ক্ষমতা নেই
ফুজ পলিসি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ২০১১ সালে ভারতে পুষ্টিকর খাবারের খরচ হিসেবে ধরা হয়েছিল জন প্রতি ৪৫.১ টাকা ( মহিলাদের) এবং ৫১.৩ টাকা (পুরুষদের)। কিন্তু দেখা গেছে পুষ্টিকর আহারের জন্য সেই টাকা পর্যন্ত খরচ করার ক্ষমতা নেই গ্রামীণ ভারতের। প্রতিবেদনের লেখক অর্থনীতিবিদ কল্যাণী রঘুনাথন এই তথ্য প্রকাশ করেছিলেন।
পুষ্টিকর আহার কী
পুষ্টিকর আহার বলতে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল ডাল, মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, পনির, ছানা, ফল, সবজি, এবং ফ্যাট জাতীয় খাদ্য। প্রায় ৩৮০টি গ্রামে সমীক্ষা চালিয়ে তারপরেই সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বিচার করেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তারপরেই জন প্রতি পুষ্টিকর আহারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মুদ্রাস্ফীতির জের
বাস্তবে যখন এই নিয়ে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন তাঁরা তখন দেখা গিয়েছে গ্রামীণ ভারতের পুষ্টিকর আহারের প্রবল অভাব তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালের পর পুরুষদের আয় বাড়লেও খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর আহার যুক্ত হয়নি। তার অন্যতম কারণ িহসেবে মনে করা হচ্ছে মূল্য বৃদ্ধি। মানুষের ন্যূনতম আহারের সামগ্রির দাম হু হু করে বেড়েছে। চাল,ডাল, সবজি, মাছ, মাংস এমনকী ডিমের দামও বেড়ে গিয়েছে। ফলে আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খরচও বেড়েছে। তাই জীবন যাত্রার কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।
মণীশ শুক্লা হত্যার পরে ক্লাবে বিস্ফোরণ! মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল