লক্ষ্মীবারে অলক্ষুণে ইঙ্গিত, টাকার দামে বড় পতন! কোন পথে ভারতীয় অর্থনীতি?
বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারের লেনদেন শুরু হতেই বড় পতন দেখে দেশ। ৪৭০ পয়েন্ট পতনের জেরে নিফটি চলে যায় ১০ হাজারের নিচে। ১৮২১ পয়েন্ট পতনের জেরে সেনসেক্স দাঁড়ায় ৩৩৮৭৬.১৩ পয়েন্টে। এর জেরে মার্কিন ডলারের নিরিখে বড় পতন ভারতীয় মুদ্রায়।
৮২ পয়সা দাম কমে যায় ভারতীয় মুদ্রার
এদিন এক ধাক্কায় ৮২ পয়সা দাম কমে যায় ভারতীয় মুদ্রার। এর জেরে প্রতি মার্কিন ডলারের নিরিখে ভারতীয় টাকার দাম দাঁড়ায় ৭৪.৫০-এ। এর আগে হোলির আগের দিনও বড় পতন দেখেছিল শেয়ার বাজার। করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা। এরই মাঝে আজ রীতিমত ধস নামার ভঙ্গিতে সেনসেক্স পতন দেখা যায়। সেদিন শেষ পর্যন্ত ১৯০০-র কিছু পয়েন্ট পতনে বন্ধ হয় শেয়ার বাজারের লেনদেন। তবে একটা সময় ২৪০০ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। এই আবহেই কিন্তু বিশ্বের মত ভারতেও হুহু করে বেড়েছে সোনার দাম। পড়ে গিয়েছিল টাকার দাম।
কোন পথে ভারতীয় অর্থনীতি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যা পরিস্থিতি তাতে টাকার দাম আরও পড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি শেয়ার বাজারেও আরও বড় পতন দেখা যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ইয়েস ব্যাঙ্ক ও করোনা ভাইরাসের জেরেই ধাক্কা খেয়ে চলেছে শেয়ার বাজার। এর আগে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা। যার জেরে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ভরসা হারাতে শুরু করে। এরপর থেকে শুক্রবার থেকেই বড় পতন শুরু হয় বাজারে। শুক্রবার বাজার খুলতেই ১৪০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সূচক। ইয়েস ব্যাঙ্কের বাজার দরে ধসের পাশাপাশি এসবিআই, ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্কেও ১০ শতাংশ করে পতন লক্ষ্য করা যায়।
করোনা ভাইরাসের জের!
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের অর্থনীতি রীতিমতো ঝুঁকির মুখে পড়েছে করোনা ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়ায়৷ পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি এই ভাইরাসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিনের আমদানি রফতানিও। এর জেরে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিস্তর। যদি আগামী কয়েক সপ্তাহে চিনের উহান শহরে এই মহামারী তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের৷
আশঙ্কায় বিশ্ব অর্থনীতি!
এদিকে করোনা ভাইরাসে প্রভাবে বিশ্ব বাজারেও মন্দা জারি রয়েছে। ইউরোপীয় এবং মার্কিন স্টক মার্কেটগুলিতে পরপর সূচকে হ্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছিল গত সপ্তাহের শেষ লগ্নে। চিনের বাইরে করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতেই এই পতন শুরু হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে, যখন আমেরিকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির পর। এরই মাঝে ইউরোপে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। যার জেরে ইউরোপীয় দেশগুলির অর্থনীতি ও বাণিজ্যে বিশাল বড় ধাক্কা লেগেছে। প্রভাব পড়ছে আমেরিকার অর্থনীতিতেও। বিশেষজ্ঞদের মত, এই মন্দার প্রভাবও পড়বে ভারতীয় অর্থনীতিতর উপর।