ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটে বিনা লড়াইয়ে বিজেপি জিতল ৮৫ শতাংশ আসন
পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা ২৭ জুলাই। কিন্তু তার আগেই ত্রিপুরায় পঞ্চায়েতের ৮৫ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেলবিজেপি।
পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ২৭ জুলাই। কিন্তু তার আগেই ত্রিপুরায় পঞ্চায়েতের ৮৫ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল বিজেপি। যদিও বিরোধীদের তরফে ব্যাপক মাত্রা সন্ত্রাসের অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে। বিরোধী সিপিএম, কংগ্রেস, জোট সঙ্গী আইপিএফটি সব মিলিয়ে ১৫ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে।
ত্রিপুরায় পঞ্চায়েতে ৮৫ % আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় বিজেপির
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের ৬৬৪৬ টি আসনের জন্য ১ থেকে ৮ জুনের মধ্যে মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়। এর মধ্যে বিজেপি ৫,৬৫২ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য একথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ২৭ জুলাই রাজ্যের ৮৫০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৮৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৮০ টি জেলা পরিষদের আসনে ভোট নেওয়া হবে। ১১ জুলাই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
ত্রিপুরায় পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা
ত্রিপুরায় ৫৯১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ৬১১১ টি, ৩৫ টি পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৪১৯ টি আর ৮ টি জেলা পরিষদে আসন সংখ্যা ১১৬ টি।
পঞ্চায়েত ভোট ২৭ জুলাই
সব মিলিয়ে ১২,০৩,০৭০ জন ভোটার( ৬,১৬,৮৯৩ জন পুরুষ এবং ৫,৮৬,১৭৬ জন মহিলা) ২,৬২৩ টি কেন্দ্রে ২৭ জুলাই সকাল ৭ টা খেরে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ভোট দেবেন। তবে ইভিএম-এর নয়, ব্যালটেই ভোট হতে চলেছে ত্রিপুরায়। গ্রাম পঞ্চায়েতেক জন্য সাদা, পঞ্চায়েত সমিতির জন্য গোলাপি এবং জেলা পরিষদের জন্য সবুজ রঙের ব্যালট পেপার থাকবে।
বিরোধীদের অভিযোগ
বিরোধী সিপিএম এবং কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ, তাদের প্রার্থীদের হুমকি ও তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। আরও অভিযোগ অস্ত্র সহ গেরুয়া বাহিনী তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দিয়েছে। ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সিপিএম দাবি করেছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তাদের ১২১ জন প্রার্থীকে বাধ্য করা হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাহারে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের ১২৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন।
অভিযোগ ওড়াল বিজেপি
রাজ্য বিজেপির মুখপত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, বিরোধী দুই দল মনোনয়ম জমা দেওয়ার লোক খুঁজে পায়নি। কেননা তাদের সমর্থনের ভিত্তিই নেই।