চিন সহ ছয় দেশ থেকে আসলেই RT-PCR বাধ্যতামূলক! বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের
চিন সহ ছয় দেশ থেকে আসলেই RT-PCR বাধ্যতামূলক! বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের
COVID 19 India: করোনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই ফের একবার বড় সিদ্ধান্ত! চিন, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের RT-PCR টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হল। আগামী ১লা জানুয়ারি অর্থাৎ ২০২৩ সালের প্রথমদিন থেকেই এই টেস্ট বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া (Mansukh Mandaviya)।
ইতিমধ্যে বিস্তারিত জানিয়ে টুইট করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখছেন, ভ্রমণের আগে সেই রিপোর্ট Air Suvidha portal-এ আপলোড করতে হবে। করোনা রুখতে ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। যার মধ্যে এটি আরও বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনা
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকদের মতে, চিন সহ এই ছয় দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে কিছ্যুটা হলেও সতর্ক ভারত। ইতিমধ্যে চিনে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনা। ফলে এই ছয় দেশ থেকে আসা যাত্রীদের এক জানুয়ারি থেকে আরটি-পিসিআরের রিপোর্ট নেগেটিভ থাকতে হবে। আর তা পেশ করতে হবে। আগামী ৪০ টা দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্তত অতীতের সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটাই আশঙ্কার কথা বলছেন তাঁরা। আর এরপরেই এমন সিদ্ধান্তের কথা মন্ত্রকের তরফে জানানো হল।
|
৩৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে
কেন্দ্রীয় সরকার গত কয়েকদিন আগেই বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরেই করোনা পরীক্ষা করতে হবে বলে জানানো হয়। আর সেই মতো বিদেশ থেকে আসা ৩৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ওপরে করোনা বিধিনিষেধ আরোপের চিন্তাভাবনা করা হলেও রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চগুলিতে সেখানকার সরকার এখনও কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। তবে কোভিড সংক্রান্ত বিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যে কোনও ঘটনার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সরকারি হাসপাতালগুলিতে মক ড্রিল করা হয়েছে। সেখানে বেড, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন, জরুরি ওষুধ এবং পেশাদার ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হয়েছে।
BF.7- নিয়ে নানা মত
অন্যদিকে বলে রাখা প্রয়োজন, করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগে চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, মারাত্মক ভাবে এটি ছড়াতে পারে। যদিও অপর একটি অংশের দাবি, করোনার ফোর্থ ঢেউ যদি আছড়ে পড়ে তাহলে তাঁর ফল খুবই কম হবে। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা এবং মৃত্যুর সংখ্যাও কম হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ।