বিজেপিতে 'বেনোজল' ঢুকে পড়ছে! আরএসএসের পত্রিকায় চাঞ্চল্যকর সমালোচনা
মুকুল রায়ের অতি উৎসাহে দলবদল করানোর ঘটা দেখেই আরএসএস ভ্রু-কুঁচকেছিল। তারপর মনিরুল ইসলামকে যোগদান করাতেই উঠে এল সেই আশঙ্কা।
মুকুল রায়ের অতি উৎসাহে দলবদল করানোর ঘটা দেখেই আরএসএস ভ্রু-কুঁচকেছিল। তারপর মনিরুল ইসলামকে যোগদান করাতেই উঠে এল সেই আশঙ্কা। তবে কি বিজেপিতেও ঢুকে পড়ছে বেনোজল? সেই ভাবনা যে একেবারে অমূলক নয়, সঙ্ঘের সতর্কবাণীতেই তা স্পষ্ট। আরও স্পষ্ট হল সঙ্ঘ-মুখপত্রের এক প্রতিবেদনে।
সঙ্ঘের পত্রিকায় 'বিপদ'-বার্তা
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের পত্রিকায় লেখা হয়েছে- লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপিতে 'বেনোজল' ঢুকতে শুরু করেছে। তা আটকাতে হবে এবং তা আটকাতে প্রয়োজন 'ছাঁকনি'র। অবিলম্বে এই 'বিপদ' রুখতে না পারলে অন্য বিপদ গ্রাস করবে দলকে। বিজেপিকে এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ।
'আদি-নব' দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া
লোকসভা ভোটে সাফল্যের পরও রাজ্য বিজেপিতে 'আদি-নব' দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এই অবস্থায় সঙ্ঘও সতর্ক করেছে রাজ্য বিজেপিকে। অবিলম্বে সমস্ত দ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে আরএসএস।
কী রয়েছে আরএসএসের মুখপত্রে?
কী লেখা হয়েছে আরএসএসের মুখপত্রে? গত ১৭ জুন সংখ্যায় মূল প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছিল 'কতটা বেনজাল আটকাতে পারবে বিজেপি'- এই শিরোনামে। সম্পাদকীয় নিবন্ধের বক্তব্য ছিল- 'দিন পরিবর্তনের আভাস পেতেই আজ যারা বিজেপিতে আসতে ইচ্ছাপ্রকাশ করছে, তারা সকলেই স্বচ্ছ নয়। তাদের মধ্যে বেনোজলও আছে।
নিয়ম-নীতি ছাঁকনির কাজ করে
আরএসএস মনে করে বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলে একটা নিয়ম-নীতি থাকা উচিত। যা ছাঁকনির কাজ করবে দলের সংগঠন বাড়াতে। একটা যোগ্যতা মান থাকবে দলে যোগ দেওয়ার। এই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা বাধ্যতামূলক। না হলে অদূর ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে।
দলত্যাগীরা অধিকাংশই 'বেনোজল'
বিজেপি 'আদি'রা অনেকেই মনে করে, লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল থেকে যাঁরা নাম লেখাচ্ছেন বিজেপিতে, তাদের অধিকাংশই 'বেনোজল'। বিশেষ করে বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর বিজেপিকর্মীদের অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসে যায়।
মনিরুল ইসলামকে দলীয় সতর্কতা
এরপর বিজেপি নেতৃত্ব বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে মনিরুলকে নিয়ে। মনিরুল ইসলামকে দলীয় কোনও কর্মসূচিতে যোগদান করতে নিষেধ করা হয়েছে। এরপর মুকুল রায় বলেন, মনিরুল তাঁকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাকে নিয়ে দলে অশান্তি হলে সে চলে যাবে। তবে সেই কথাক পরও বিজেপিতে অসন্তোষ মেটেনি।
বিজেপিতে বেনোজল নিয়ে দ্বন্দ্ব
রাজ্য বিজেপিতে বেনোজল নিয়ে দ্বন্দ্ব চললেও, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করে দল বড় করতে গেলে অন্য দল ভাঙা-সহ বিভিন্ন কৌশল নিতে হয়। তা-ই নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। তবে শীর্ষ নেতৃত্বের সে কথা মেনে নিয়েও সঙ্ঘের বক্তব্য, অন্য দল ভাঙার সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, কিন্তু তা হচ্ছে না।