মোদী বিরোধিতার পরিণাম! কী হাল হতে চলেছে তোগারিয়া ও তাঁর অনুগামীদের
প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় এবার সঙ্ঘ পরিবারের রোষের মুখে অপর হিন্দু সংগঠনের নেতা প্রবীণ তোগারিয়া। আরএসএসের টার্গেটে রয়েছেন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদকও।
প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় এবার সঙ্ঘ পরিবারের রোষের মুখে অপর হিন্দু সংগঠনের নেতা প্রবীণ তোগারিয়া। আরএসএসের টার্গেটে রয়েছেন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদকও।
তাঁকে ভুয়ো এনকাউন্টারের মারার চেষ্টা করছে রাজস্থান ও গুজরাতের বিজেপি সরকার। ষড়ষন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এমনই অভিযোগ করেছিলেন ভিএইচপি প্রধান প্রবীণ তোগারিয়া। এবার এই অভিযোগের জবাব দিতে তৈরি আরএসএস।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রের সরকার এবং বিজেপি বিরোধী অভিযোগের জেরে, ভিএইচপির আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ তোগারিয়াকে ছেঁটে ফেলতে চায় আরএসএস। তালিকায় রয়েছে ভিএইচপি আন্তর্জাতিক সভাপতি রাঘব রেড্ডির নামও। আরএসএস-এর ছাঁটাইয়ের তালিকায় রয়েছেন বিজেপি শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ভিরজেশ উপাধ্যায়ের নামও।
জানা গিয়েছে, আরএসএস-এর পদাধিকারীরা ভিএইপির আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ তোগারিয়ার কাজে অখুশি। নিজেদের বিষয়বস্তু এই তিনজন উত্থাপন করছেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলার অভিযোগও করছে আরএসএস। সঙ্ঘের ভাবধারা ছড়িয়ে দিতে ক্যাডার ভিত্তিক দুই সংগঠন কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ।
ফেব্রুয়ারি শেষে বৈঠকে বসতে চলেছে ভিএইচপির এক্সিকিউটিভ কমিটি। সেই সময় আরএসএস-এর তরফে ভিএইচপি, ভারতীয় মজদুর মোর্চার নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার জন্য জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও মার্চে বৈঠকে বসবে সঙ্ঘ পরিবারের প্রতিনিধি সভা। এর আগেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় তারা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরএসএস-এর শীর্ষ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ বিজেপির বিরুদ্ধাচরণকারী এইসব নেতাদের ছেঁটে ফেলতে চায়। সঙ্ঘ চায় তাদের সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যে বিরোধিতা মিটিয়ে নিক। সাংগঠনিক পরিবর্তনও অবশ্যম্ভামী বলে জানা গিয়েছে। কেননা, ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে আগেই দলীয় ক্যাডারদের মধ্যে কোনও বিশৃঙ্খলা চান না তাঁরা।
আরএসএস এর আগেও ভিএইচপি-তে পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল। ডিসেম্বরে একজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে ভিএইচপি আন্তর্জাতিক সভাপতি রাঘব রেড্ডির জায়গায় হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল ভিএস কোকজের নামও সুপারিশ করা হয়েছিল। যদিও সে সময় রেড্ডি এবং তোগারিয়ার সমর্থকরা টিকে যান।
যদিও ভিএইচপি-তে তোগারিয়া এবং রেড্ডির সমর্থকরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। যদিও তাঁদের ভিত্তি আরএসএস-ই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরএসএস চেষ্টা করছে ভিএইচপি সমর্থকদের বিষয়টি নিয়ে বোঝাতে। জানা গিয়েছে, তোগারিয়া, রেড্ডি এবং উপাধ্যায়কে প্রথমে তাঁদের পদ ছাড়তে বলা হবে। তা না করলে ভোটাভুটির মাধ্যমে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে।