পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে কর্নাটকের সিদ্ধান্তের পরই কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দিল আরআরএস
পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে বিজেপি-শাসিত কর্নাটকের সিদ্ধান্তের পরই কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দিল আরআরএসের শ্রমিক সংগঠন। নির্মীণকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবারই আন্তঃরাজ্য শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেয় কর্নাটক। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা জানান, রেড জোনের বাইরে রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় ব্যবসা, নির্মাণকাজ এবং অন্যান্য শিল্পকাজ শুরু হয়েছে। সেজন্য শ্রমিকদের অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কথা হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্র আরএসএস বৈঠক
এর পরই বুধবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন আরএসএশ-এর শ্রমিক সংগঠন বিএমএসের সভাপতি সিকে সাজি নারায়ানন। সেখানে তিনি জানান, যে পরিযায়ী শ্রমিকরা পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাইছেন, তাঁদের আটকানোর জন্য বাধ্য করা উচিত নয়।
আরএসএস-এর বক্তব্য
সিকে সাজি নারায়ানন বলেন, 'যে রাজ্যে শ্রমিকরা কাজ করতেন, সেখানে ফিরে আসার জন্য নগদ অর্থ, ইলেট্রনিক পাস, বিনামূল্যে ট্রেনের টিকিটের মতো সুযোগের বন্দোবস্ত করা উচিত। আপনি তাঁদের বন্দি করে রাখতে পারেন না। শ্রমিকদের ধরে রাখার জন্য শিল্প সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, সরকারি আধিকারিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।'
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কর্নাটকের সিদ্ধান্ত
এদিকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, শ্রমিকদের সমস্ত জরুরি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা যাতে নিজের রাজ্যে ফিরে না যান, তা বোঝানোর জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইয়েদুরাপ্পা। তবে সেই পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংঘের শ্রমিক সংগঠন। সেই শ্রমিক ক্যাম্পগুলির পরিকাঠামো আরও উন্নতমানের করার জন্য কেন্দ্রকে বলে আরএসএস।
কাজের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আরএসএস
একইসঙ্গে কাজের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএমএস। তাদের বক্তব্য, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (আইএলও) এবং বিভিন্ন শ্রম আইনের লঙ্ঘন। প্রতি মাসের সাত তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়া, গ্রাম-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের জীবনযাত্রা রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
বেতনে কমানোর বিরোধিতায় আরএসএস
পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ১৪ টি রাজ্যে বেতনে কমানো ও কেন্দ্রের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংঘের শ্রমিক সংগঠন। যাতে কর্মীদের বেতনে কোপ বসানো না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য গঙ্গোয়ারের কাছে আর্জি জানিয়েছে বিএমএস।