এবার সিলেবাস থেকে বাদ বিশ্বকবিই! এ কেমন প্রস্তাব সংঘ পরিবারের
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বা স্বামী বিবেকানন্দ থাকতে পারেন, কিন্তু রাখা যাবে না রবীন্দ্রনাথকে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমনই ন্যক্করজনক এক প্রস্তাব দিয়ে ফেলল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ।
এ কেমন প্রস্তাব দিল সংঘ পরিবার! সিলেবাস থেকে বাদ দিতে হবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই! নেতাজি সুভাষচন্দ্র বা স্বামী বিবেকানন্দ থাকতে পারেন, কিন্তু রাখা যাবে না রবীন্দ্রনাথকে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমনই ন্যক্করজনক এক প্রস্তাব দিয়ে ফেলল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ।
পাঠ্য পুস্তকের বদল চেয়ে আরএসএসের শিক্ষা শাখার প্রধান একটি প্রস্তাব পত্র পাঠিয়েছেন ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন রিসার্চের কাছে। আরএসএসের শিক্ষা শাখার প্রধান দীননাথ বাত্রার লেখা পাঁচ পাতার ওই প্রস্তাবে সবথেকে বিতর্কিত অংশটি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাতীয়তাবাদী ও মানবতাবাদী ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং সেই সম্পর্কিত একটি রচনা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া।
এছাড়া দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু ইংরেজি, উর্দু ও আরবি শব্দও বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে আরএসএস। মির্জা গালিব ও আকবরের প্রসঙ্গ বাদ দেওয়ার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে দীননাথ বাত্রার পক্ষ থেকে। শিক্ষা ব্যবস্থায় বদল আনতে আরএসএসের এই একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এখন শিক্ষামহলে বিতর্ক তুঙ্গে।
আরও একটি বিষয়ে আলেকপাত করেছেন আরএসএসের শিক্ষা সংগঠনের প্রধান দীননাথ বাত্রা। তিনি একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপুল ভোটে জয়ের বিষয়টিও বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেইসঙ্গে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে গুজরাট হিংসা, ৮৪ সালের হিংসা প্রসঙ্গে মনমোহন সিংয়ের দুঃখপ্রকাশের কথাও।
এই প্রস্তাব-নামায় উল্লেখ করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের জাতীয়তাবাদ ও মানবতাবাদ সংক্রান্ত চিন্তাভাবনার কথা বাদ দেওয়া জরুরি। নোবেলজয়ী বিশ্বকবির জাতীয়তাবাদী ভাবনা সাধারণের ইতিবাচক ভাবনাতে ফাটল ধরাচ্ছে বলে অভিযোগ আরএসএসের। আরএসএসের এহেন প্রস্তাবের পর শিক্ষামহলে ঝড় ওঠে।