নরেন্দ্র মোদীকে সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে তুলনা করল আরএসএস
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, "অটলবিহারী বাজপেয়ী ও নরেন্দ্র মোদী, দু'জনেই ভালো মানুষ। অটলবিহারী বাজপেয়ী মহাত্মা গান্ধীর মতো আর নরেন্দ্র মোদী হলেন সুভাষচন্দ্র বসুর মতো।" নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের কতটা উপকার হবে, তা বোঝান তিনি। পাশাপাশি বলেন, আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ)-কে অনেক রাজনীতিবিদ সাম্প্রদায়িক বলে থাকেন। এঁরা সব মূর্খ। কিছু জানেন না। আরএসএস সুস্থ সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে বলেও তিনি দাবি করেন।
এই বর্ষীয়ান নেতার আরও স্বীকারোক্তি, আরএসএস উত্তরপ্রদেশে নরেন্দ্র মোদীর ভোটপ্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে। ১০০ শতাংশ ভোটদান যাতে হয়, সেই ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দিগ্বিজয় সিং বারবার নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছেন। আপনি কী বলবেন? ইন্দ্রেশ কুমার বলেছেন, "নরেন্দ্র মোদীর যশোদাবেন পর্বের সঙ্গে দিগ্বিজয় সিংয়ের প্রেমপর্বের কোনও তুলনা হয় না। নরেন্দ্র মোদী হলেন একজন যোগী, কিন্তু দিগ্বিজয় সিং হলেন ভোগী। প্রথমজনের কাছে ত্যাগই হল আদর্শ। দ্বিতীয়জনের কাছে ভোগই হল আদর্শ।"
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ায় লালকৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে কি কোনও সমস্যা হয়েছে? তিনি বলেন, "না, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আদবানিজির কোনও সমস্যা নেই। যে সময় নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে, সেই সময়টা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন তিনি।"
আশ্চর্যজনকভাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রবীণ তোগাড়িয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর মতে, এ ধরনের লোকজন উগ্রপন্থায় বিশ্বাস করে। গণতন্ত্রে উগ্র মতবাদের কোনও জায়গা নেই। তাই মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও নেই। প্রসঙ্গত, এই কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে দুই হিন্দুত্ববাদী শক্তি আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মধ্যে এখন দূরত্ব তৈরি হয়েছে।