সোশ্যাল মিডিয়া স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক করছে! মোদীকে কি বার্তা, ভগবতের মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য
সোশ্যাল মিডিয়া এবং অ্যাপস মানুষকে স্বার্থপর এবং আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। এমনটাই মনে করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। একইসঙ্গে নিজের ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট না থাকার কথা জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং অ্যাপস মানুষকে স্বার্থপর এবং আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। এমনটাই মনে করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত। একইসঙ্গে তিনি নিজের ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট না থাকার কথা জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান।
সংগঠনের মুখপত্র পঞ্চজন্যতে ভগবতের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অ্যাপস নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ভগবত বলেছেন, এগুলি খুবই সহায়ক বস্তু। উপযুক্ত জায়গায় তাদের ব্যবহার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ভগবত। একইসঙ্গে ব্যবহারের সময় তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন ভগবত। না হলে তা মানুষকে স্বার্থপর এবং আত্মকেন্দ্রিক করে, বলে মন্তব্য করেছেন আরএসএস প্রধান।
একইসঙ্গে ভগবত বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়া মানেই আমি, আমি এবং আমি। প্রত্যেক এবং সব কিছুতেই নিজের বক্তব্য পেশ করতে হয়। নিজের বক্তব্য সম্মিলিত হলেও, কোনও রকম অপেক্ষা ছাড়াই নিজের মতামত পেশ করতে হয়। অনেক সময়ই তা করতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। এমন কী নিজের লোকের সঙ্গেই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। পরে সেই জিনিসই মুছে ফেলতে হয়। এটা শুধু সাধারণের মধ্যে নয়, স্বয়ংসেবকদের মধ্যেও ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন আরএসএস প্রধান।
ফেসবুক-এই নামটা থেকে বোঝা যাচ্ছে এটা নির্দিষ্ট কারও মুখমণ্ডলের প্রতিনিধিত্ব করছে। যা কাউকে আরও আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজের এই অভিক্ষেপের নির্দিষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। তবে সংগঠন ভাবে তার কোনও গুরুত্ব নেই। সেই জন্য সঙ্ঘের ফেসবুক পেজ এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট থাকলেও নিজের তা নেই বলেই মন্তব্য করেছেন ভগবত। ভবিষ্যতেও তা তাঁর থাকবে না বলেও নিশ্চিত করে দিয়েছেন আরএসএস প্রধান।
আরএসএস প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে এই মতামত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী কিংবা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বার্তা দিলেন কিনা, রাজনৈতিক মহলে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর মোদীর পরিচিতি সকলেই জানেন। আবার গুজরাত ভোটে ধাক্কার পর উত্তর প্রদেশে লোকসভার দুটি আসনে বিজেপির পরাজিত হওয়ার খবরও জানে ভারতবাসী। ফেসবুক, টুইটারে জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে গিয়ে মোদী, যোগীরা কি সরাসরি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক হারাচ্ছেন কিনা, ভগবতের মন্তব্য সেই প্রশ্নও তুলছে।