ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত! আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের আর সন্দেহ নেই
একুশে মোদীর নেতৃত্বে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
ভারত যে হিন্দু রাষ্ট্র এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। এবার তিনি দাবি তুললেন, অবিলম্বে ঘোষণা হোক ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র। সুনীল আম্বেদকরের লেখা একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত এই দাবিতে সরব হন। তিনি বলেন ভারত যে হিন্দু রাষ্ট্র, সেই দাবি ফের একবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সংঘের নীতিতে ভারত হিন্দু রাষ্ট্র
আরএসএসকে নিয়ে বই লিখেছেন সুনীল আম্বেদকর। সেই বইপ্রকাশ করে মোহন ভাগবত বলেন, আরএসএস শুধু একটাই নীতি। আর সেটা হল ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র। অনেকে মনে করে সঙ্ঘের আদর্শ হলেন প্রভু হনুমান, ছত্রপতি শিবাজি এবং হেডগেয়ার। তা কিন্তু নয়। কোনও নির্দিষ্ট নীতিকে সংঘের নীতি বলে মনে করা ভুল।
সংঘের দাবি, হিন্দুস্তানবাসী হলেই হিন্দু
তিনি বলেন, কোনও একটা বই লিখে সঙ্ঘের নীতিকে বেঁধে ফেলা যায় না। এমনকী গোলওয়ালকারের বই থেকেই সঙ্ঘকে বর্ণনা করা যায় না। শুধু এটুকু নির্দিষ্ট করে বলা যায়। আরএসএস হিন্দু রাষ্ট্রের তত্ত্বে বিশ্বাসী। রাষ্ট্রী স্বয়ংসেবক সংঘ মনে করে, হিন্দুস্তানে যারা বাস করেন, তারা সকলেই হিন্দু ছিল।
সংঘের বিশ্বাসেই ধর্মান্তকরণ আরএসএসের
সংঘের বিশ্বাস, পরবর্তী সময়ে হয় সেইসব হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়, নতুবা তাঁরা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হন। অর্থাৎ ভারতে বসবাসকারী মুসলিমরাও একসম হিন্দু ছিল। সেই কারণেই অন্ ধর্মের মানুষকে হিন্দুত্বে পরিণত করতে কোনও আপত্তি করে না আরএসএস।
ভারত ধর্মনিরপেক্ষ, বলে সংবিধান
অবশ্য সংঘের এই মতকে ভারতীয় সংবিধান মান্যতা দেয় না। সংবিধান বলে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। তা সত্ত্বেও আরএসএস হিন্দু রাষ্ট্রের দাবিতে অনড়। তাদের মূল লক্ষ্ই হল ভারতে হিন্দু রাষ্ট্র পরিণত করা। এদিন বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে তা ফের বুঝিয়ে দিলেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত।
[ গোপাচারের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডে গত ৬ বছরে গ্রেফতার ৫৩ জন]
[চোরাপথে বাংলাদেশ যেতে গিয়ে দালালের খপ্পরে, তরুণীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ]