Cyber Alert: শুধু মিসড কলেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫০ লক্ষ টাকা! কীভাবে সম্ভব হল
Cyber Alert: শুধু মিসড কলেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫০ লক্ষ টাকা! কীভাবে সম্ভব হল
ওটিপি ছাড়াই শুধুমাত্র মিসড কলেই দিল্লির একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ লক্ষ টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। প্রাথমিকভাবে তাদের অনুমান এই কাণ্ডের জালিয়াতরা ঝাড়খণ্ডের জামতারা এলাকার।
ঠিক কী ঘটেছে
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ অক্টোবর। একটি নিরাপত্তা পরিষেবা সংস্থার পরিচালক সেদিন সন্ধে সাতটা থেকে ৮.৪৪ মিনিটের মধ্যে একাধিক মিসড কল পেয়েছিলেন। তিনি কিছু কলে সাড়া দেন, কিছু কল উপেক্ষা করেন। এরপরেই তিনি ৫০ লক্ষ টাকার আরটিজিএস লেনদেনের বার্তা পেয়ে ফোন চেক করেন। লেনদেন নিয়ে তাঁর মোবাইলে সেই সময়ের মধ্যে একাধিক বার্তা এসেছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাঝ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে ওই ব্যক্তির কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ লক্ষ টাকার আরটিজিএস করা হয়।
পুলিশ কী সন্দেহ করছে
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের সন্দেহ এব্যাপারে সিম সোয়াপ করা হয়েছে। আরটিজিএস ট্রান্সফারের সময় তারা ফোনে ওটিপি চালু রেখেছিল। সেই সময় একটি সমান্তরাল কলের মাধ্যমে জালিয়াতরা আইভিআর-এর মাধ্যমে উল্লেখ করা ওটিপি শুনেছে।
কোন পদ্ধতিতে জালিয়াতি
জালিয়াতরা ওই ব্যাক্তির সিম কার্ডে অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা কীভাবে? তদন্তকারীদের সন্দেহ জালিয়াতরা গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরের জন্য একটি ডুপ্লিকেট সিম কার্ড সংগ্রহ করে থাকতে পারে। এই ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে জালিয়াতরা ডুপ্লিকেট সিমে পাওয়া ওটিপি ব্যবহার করে থাকে। এক্ষেত্রে জালিয়াতরা সাধারণভাবে টেলিফোন কিংবা মোবাইল নেটওয়ার্ক স্টাফ হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। অফারের লোভ দেখিয়ে গ্রাহক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়।
কীভাবে সতর্কতা অবলম্বন
এব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে গেলে সিম কার্ড সম্পর্কিত তথ্য কখনই শেয়ার করা যাবে না। যে কোনও মোবাইল গ্রাহককে তাঁর মোবাইলে নেটওয়ার্কের অ্যাক্সে সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। যদি নিয়মিতভাবে ফোনে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকে, তাহলে অবিলম্বে মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যাতে নির্দিষ্ট মোহাইল নম্হরের জনম্য কোনও জুপ্লিকেট সিম ইস্যু না হয়।
সাইবার ক্রাইমে জামতারা
জামতারায় একটা সময়ে গৌরবের ইতিহাস থাকলেও, এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের কাছে তা পরিচিত সাইবার অপরাধের কারণে। এছাড়াও ২০২০ সালে জামতারার সাইবার অপরাধের ওপরে ওয়েব সিরিজও তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৮-তে জামতারা থেকে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সাইবার ক্রাইম থানা তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে প্রায় শতিনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হলেও পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। কেননা অপরাধীরা জামিনে মুক্ত হয়ে নতুন উপায়ে অপরাধ পরিচালনা শুরু করছে।
প্রতীকী ছবি