সিবিআইয়ের জালে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি! তল্লাশি অভিযানে মিলল নগদ ৫০ লক্ষ টাকা
এর আগে গতবছরের সেপ্টম্বরেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। এবার ফের সিবিআইয়ের জালে ধরা দিতে হতে পারে তাঁকে। প্রসঙ্গত, এদিন ডিকে শিবকুমার এবং তাঁর ভাই ডিকে সুরেশের মালিকানাধীন ১৫টি সম্পত্তিতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই আর সেই অভিযানে ৫০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানাল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার সকালে শিবকুমারের কর্নাটক, দিল্লি ও মুম্বইয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআইয়ের তিনটি দল।
কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ
কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ থাকলেও প্রথম থেকেই তা অস্বীকার করেন তিনি৷ একই সঙ্গে শিবকুমারের দাবি ছিল, প্রয়োজনীয় সব নথিই তদন্তকারীদের কাছে তিনি পেশ করেছেন৷ আয়কর দফতরের কাছে প্রয়োজনীয় সব হিসাবও পেশ করেছেন৷ তারপরও বার বার তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে৷
নির্বাচনের আগে নজর ঘোরানোর অভিযোগ
এদিকে শিবকুমারের বাড়িতে এই তল্লাশি অভিযান চালানোর পরই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস৷ ৩ নভেম্বর কর্নাটকে উপ-নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসের নির্বাচন প্রস্তুতি খারাপ করতে এবং মানুষের নজর ঘোরাতে এই পদক্ষেপ বলে অভিযোগ কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার।
ইয়েদুরাপ্পা সরকারের দুর্নীতির তদন্ত করা উচিত
এদিকে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইটে আক্রমণ করে বলেছেন, মোদী-ইয়েদুরাপ্পার হাতের কাঠপুতুলের মতো আচরণ করছে সিবিআই। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, সিবিআইয়ের উচিত কর্নাটকে বিএস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের দুর্নীতির তদন্ত করা।
৫ বছরে ১০০ গুণ বেড়েছে সম্পত্তি
যদিও ইডি সূত্রে দাবি, শিবকুমারের মেয়ে ঐশ্বর্যকের সম্পত্তি ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০০ গুণ বেড়েছে। গতবছর সেপ্টেম্বরে গ্রেফতারের পর, তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন শিবকুমার। অক্টোবরে তাঁকে জামিনে দেয় হাইকোর্ট। বর্তমানে ওই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।