দর্জির দোকান থেকে ৩০ লক্ষ টাকা, আড়াই কেজি সোনা উদ্ধার ইডির
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট চণ্ডীগড়ের মোহালিতে এক দর্জির দোকানে হানা দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা ও ২.৫ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে। দোকানের মালিকের নাম ইন্দরপাল মহাজন।
মোহালি, ১৭ ডিসেম্বর : বেআইনি অর্থ উদ্ধারে সারা দেশ জুড়ে আয়কর হানা চালানো হচ্ছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট চণ্ডীগড়ের মোহালিতে এক দর্জির দোকানে হানা দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা ও ২.৫ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে। দোকানের মালিকের নাম ইন্দরপাল মহাজন।
চণ্ডীগড়ে কয়েকদিন আগেই এক কাপড়ের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। এরপরই খবর পেয়ে দর্জির দোকান থেকে এত পরিমাণ বেআইনি টাকা উদ্ধার হল।
মোহালির এই দর্জির দোকানটির নাম মহারাজা টেলর শপ। চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২২-এ এই দোকানটি রয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট উদ্ধার হওয়া ৩০ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৮ লক্ষ টাকাই নতুন ২ হাজারের নোটে। বাকীটা ১০০ ও ৫০ টাকার নোটে উদ্ধার হয়েছে।
কীভাবে এত টাকা এখানে জড়ো করা হল, কীভাবে নতুন নোট এত পরিমাণে পাল্টে ফেলা গেল, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইডি। দোকানের বিল বুকও তদন্তের জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরে দোকানের মালিক প্রতি ভরি সোনা ৪৪ হাজার টাকা দরে কিনেছিলেন। যা আসল দামের প্রায় দেড়গুণ বেশি।
এই কাজে জড়িত সন্দেহে চণ্ডীগড় পুলিশ মোহালির বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক সিনিয়র কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তিনিই ইন্দরপালকে নতুন নোট জুগিয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।