ভবিষ্যতে নোটের আকাল আরও বাড়বে! নেতার এমন ইঙ্গিতে শোরগোল
কালি না পাওয়ার কারণে নাসিকের সরকারি নোট ছাপার প্রেসে ২০০ ও ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজ বন্ধ আছে। এমনটাই দাবি করেছেন সেখানকার শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা।
কালি না পাওয়ার কারণে নাসিকের সরকারি নোট ছাপার প্রেসে ২০০ ও ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজ বন্ধ আছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন সেখানকার শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা। ফলে ফের আরেক দফা সংকটের মুখে পড়তে চলেছে দেশের বড় অংশে়র মানুষ।
যে কালিতে ২০০ ও ৫০০ টাকার নোট ছাপা হয়, তা আসে বিদেশ থেকে। যেটা এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নাসিকে নোট ছাপার কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন জগদীশ গডসে। নাসিকের নোট ছাপার প্রেসের প্রেস ওয়াকার্স ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট এই জগদীশ গডসে।
যদিও তিনি বলতে পারেননি কবে থেকে এই নোট ছাপার কাজ বন্ধ হয়েছে।
দেশ ব্যাপী নোটের আকালের এটাও একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন শ্রমিক সংগঠনের এই নেতা। ২০০০ টাকার নোট বাদ দিয়ে এই প্রেসে বাকি সব মূল্যের নোট ছাপা হয়ে থাকে।
নাসিকের প্রেসটি রয়েছে সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার অধীনে। যা সরাসরি অর্থমন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। সাধারণত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে নোট ছাপার অর্ডার দেওয়া হয়। এছাড়াও ভারত সরকারের অধীনে থাকা মিন্টও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
দেশের নোটের আকাল মেটাতে সরকার ৭৫ হাজার কোটির ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর কথা বলার পরেই নোট ছাপানোর কালির কথা সামনে এল।
স্বাভাবিকভাবেই সরকারের প্রয়োজন মতো নোট ছাপা না হলে পরবর্তী সময়ে দেশের আরও বড় অংশ যে নোটের আকালের মধ্যে পড়তে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।