দিল্লিতে নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞার নিয়ম ভাঙলে দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা
সুপ্রিম কোর্টের আওতাভুক্ত পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ ১০ সদস্যের দূষণ-বিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করেছিল।
সুপ্রিম কোর্টের আওতাভুক্ত পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ ১০ সদস্যের দূষণ-বিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করেছিল। টাস্কফোর্সের সুপারিশে আপাতত দিল্লি-এনসিআর এলাকায় নির্মাণকাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যকর করতে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্মাণকাজের নিষেধাজ্ঞা না মানলে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে সোমবার জানিয়ে দিল সুপ্রিমকোর্ট। পাশাপাশি ময়লার ব্যাগ পোড়ালেও জরিমানা দিতে হবে। সেই পরিমাণ অবশ্য মাত্র ৫ হাজার টাকা।
আজ শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশকে কার্যকর করতে কেন্দ্র ও দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও দুই সরকারকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
এছাড়া আজ শীর্ষ আদালত শুক্রবারের মধ্যে দিল্লি সরকারকে নথি জমা দিয়ে প্রমাণ করতে বলেছে যে লাগু হওয়া জোড়-বিজোড় নীতি দূষণ কমাতে সাহায্য করছে। কারণ এই নীতি লাগু হলেও রাস্তায় দেদার চলছে ট্যাক্সি ও অটো।
এদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ারের জারি করা জোড়-বিজোড় নম্বরের বিধি ভাঙলেন বিজেপি সাংসদ বিজয় গোয়েল। তাঁর দাবি, ইচ্ছে করেই তিনি নিয়ম ভেঙেছেন। কারণ এটা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী চমক ছাড়া আর কিছুই নয়। নিয়ম ভাঙার জেরে আজ তিনি ৪০০০ টাকা জরিমানাও দেন।
এদিকে আজ শুনানি চলাকালীন দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা শীর্ষ আদালত। কেন প্রতি বছর দিল্লির বাতাসে এই পরিমাণ দূষণ ছড়াচ্ছে? সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় শীর্ষ আদালত। দিল্লির দূষণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের কৃষকদের শুকনো ফসল পোড়ানোর কারণেই দিল্লিতে দূষণ বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিচারপতি। এই সমস্যা সমাধানে সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।