মৃত্যুর আগে হাসপাতালে ৭৫ দিন! জয়ললিতার খাবার বিল জানলে ভিমরি খাবেন
মৃত্যুর আগে ৭৫ দিন চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা। সেই সময়ে হাসপাতালে খাবারের বিল হয়েছিল১.১৭ কোটি টাকা।
মৃত্যুর আগে ৭৫ দিন চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা। সেই সময়ে হাসপাতালে খাবারের বিল হয়েছিল ১.১৭ কোটি টাকা। মৃত্যু তদন্তে গঠিত কমিশনের সামনে তথ্য দাখিল করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে তরফ থেকে। তাতে দেখা যাচ্ছে পুরো বিলের বেশির ভাগটাই মিটিয়ে দিয়েছিল এআইএডিএমকে। বাকি থাকা ৪৪.৪৬ লক্ষ টাকা নিয়ে সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
জয়ললিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ২০১৬-র ২২ সেপ্টেম্বর। ২০১৬-র ৫ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
এআইএডিএমকের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৭-র ১৫ জুন তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছে। তার আগে ২০১৬-র ১৩ অক্টোবর দিয়েছিল ৪১ লক্ষ টাকা। এরপরেও হাসপাতালের বিলে দেখা যায়, বেশ কিছু টাকা বাকি পড়ে রয়েছে। তখন এআইএডিএমকের তরফে জানানো হয়, করদাতাদে টাকায় সেই বিল মেটানো হবে না। বিল দেবে দলই।
পুরো খবরচের মধ্যে কনসাল্টেশন ফি বাবদ নেওয়া হয়েছে ৭১ লক্ষ টাকা। হেলথ সার্ভিসের জন্য নেওয়া হয়েছে ১.৯২ কোটি টাকা। ওযুধের জন্য গিয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। ব্রিটেন থেকে আসা চিকিৎসক রিচার্ড ব্যালের জন্য গিয়েছে ৯২ লক্ষ টাকা। ফিজিওথেরাপির জন্য লেগেছে ১২ লক্ষ টাকা। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের তরফ থেকে এই সার্ভিস দেওয়া হয়েছিল।
হাসপাতালে ঘরভাড়ার জন্যই লেগেছে ১.২৪ কোটি টাকা। জয়ললিতার কাছে বলে পরিচিত শশীকলা এবং তাঁর আত্মীয়রা ওই ৭৫ দিনের চিকিৎসার সময়ে হাসপাতালে ছিলেন। এদিকে হাসপাতালের বিল ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতবছরের সেপ্টেম্বরে এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। নেতৃত্বে ছিলেন এ অরুমুঘোস্বামী। এখনও পর্যন্ত ১৩০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যাঁর মধ্যে রয়েছেন আইএএস এবং আইপিএসও। চিকিৎসক, হাসপাতালকর্মী ছাড়াও পোয়েজ গার্ডেনে জয়ললিতার বাড়ির কাছে লোকেরাও রয়েছেন সেই তালিকায়।