রাষ্ট্রপতি ভবন জুড়ে দুর্গন্ধ, তল্লাশিতে মিলল লাশ!
দুর্গন্ধ অনুসরণ করে, রাষ্ট্রপতি ভবনের সার্ভেন্স কোয়ার্টার থেকে এক কর্মীর পচা গলা লাশ পাওয়া গিয়েছে।
পচা গলা লাশ পাওয়া গেল রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীদের আবাসন থেকে। মৃত ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি ভবনেরই এক কর্মী। তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁর প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে এই কর্মীর নাম ত্রিলোকচাঁদ। রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের কর্মী ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর শরীরটা ভাল ছিল না। এক সপ্তাহ মতো দফতরেও আসেননি তিনি। রাষ্ট্রপতিভবনের কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট আবাসনেই তিনি থাকতেন। এক দুদিন ধরেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন তাঁর প্রতিবেশীরা। বৃহস্পতিবার রাতে অসম্ভব পচা গন্ধ বেরোলে বাসিন্দারা পুলিশ ডাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারা ত্রিলোকচাঁদ-কে মৃত অবস্থায় পায়। দেহে পচন ধরেছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ডাক্তাররা জানিয়েছেন সম্ভবত ৪ থেকে ৫ দিন আগেই মৃত্যু হয় ত্রিলোকচাঁদের। এখনও পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁকর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তার রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে বলা যাবে।
এতদিন ভারতের বিভিন্ন শহর বা শহরতলীতে, হন্ধ ফ্ল্য়াটের ভেতর থেকে পচা লাশ উদ্ধার হয়েছে। শহরাঞ্চলে একা বসবাসকারীদের মধ্যে এ ঘটনা বিরল নয়। পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে না। কেউ অসুস্থ হলেও দেখার লোক থাকে না। কিন্তু, এক্ষেত্রে ঘটনাটি রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যে হওয়াতেই আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। ওই কর্মী অসুস্থ জানার পরও তার প্রতিবেশীরা কেন ডাক্তার ডাকলেন না - এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে তিনি পাঁচদিন ধরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকার পরও তাঁর সহকর্মী তথা প্রতিবেশীরা কোন খোঁজ নিল না সেদিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতি ভবনের সাভ্রেন্ট্স কোয়ার্চারে আত্মহত্যা করেছিলেন এক মহিলা। সাজিয়া নামের ২৬ বছরের ওই তরুনী ভবনের এক কর্মীর মেয়ে ছিলেন। সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়েছিলেন এই মহিলা।