For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

রোহিঙ্গা সংকট: যেভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ শরণার্থীর মৃত্যু হলো

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পগুলোতে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, ডাকাতি, অপহরণের মত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেরকম দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মঙ্গলবার চার শরণার্

  • By Bbc Bengali

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার পর সেখানকার শরণার্থী শিবিরগুলোতে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা যাবত কুতুপালং ক্যাম্পের ভেতরে কিছু জায়গায় গোলাগুলি এবং বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলে।

রোহিঙ্গা সংকট: যেভাবে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ শরণার্থীর মৃত্যু হলো

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম চারজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন, তবে মোট কতজন আহত হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র তরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের।

রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের ধারণা ক্যাম্পের ভেতরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পের ভেতরে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমাদের পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।"

আরো পড়তে পারেন:

কী কারণে সংঘর্ষ?

কুতুপালং ক্যাম্পের স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের সূত্রপাত।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পগুলোতে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, ডাকাতি, অপহরণের মত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এরকম একটি দল - যারা সেখানে 'মুন্না গ্রুপ' নামে পরিচিত - এর অন্যতম প্রধান একজন নেতাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে আরেক গ্রুপের সদস্যরা। সেসময় ক্যাম্পের কয়েকজন সাধারণ রোহিঙ্গা শরণার্থী মারা যায় এবং বেশ কয়েকজন হতাহত হয়।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মারা যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিচয় জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা যাবত কুতুপালং ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

সন্ধ্যার সময় গোলাগুলি ও সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর ক্যাম্পে থাকা কয়েক হাজার শরণার্থী ক্যাম্পের বাইরের কয়েকটি গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয় বলে জানা যায়। ক্যাম্পের ভেতরে থাকা অনেকেও সংঘর্ষ এড়াতে ক্যাম্পের ভেতরের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের কাছে আশ্রয় নেয়।

তবে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয় অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দোজা জানান, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পের মধ্যেই অন্যত্র আশ্রয় নেয় অনেক পরিবার, ক্যাম্পের বাইরে গ্রামে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

সকালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ধীরে ধীরে ক্যাম্পের ভেতরে বাসিন্দারা ফেরত আসতে শুরু করেছে বলে তিনি জানান।

এর আগেও শরণার্থী ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং সেসব সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

তবে গত সাত আটদিন যাবত প্রতিদিন রাতেই কুতুপালং ক্যাম্পে গোলাগুলি এবং ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে জানান সেখানকার এক বাসিন্দা।

তিনি জানান, অন্য একটি সশস্ত্র দলের এক সদস্য তার আগের দল ছেড়ে নতুন দলে যোগ দেয়ার কারণে সম্প্রতি দুই দলের মধ্যে রেষারেষি বেড়েছে।

সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিন রাতেই ক্যাম্পের ভেতরে কমপক্ষে একশো থেকে দেড়শো রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানান তিনি।

গত শনিবার রাতে দুই বিরোধী গ্রুপের মধ্যে এরকম এক সংঘর্ষেই দু'জন রোহিঙ্গা শরণার্থী মারা যায়।

অস্ত্র সহ ৯ রোহিঙ্গা গ্রেফতার

ওদিকে মঙ্গলবার রাতে র‍্যাব-১৫ এর একটি দল চাকমারকুল ক্যাম্প থেকে অস্ত্রসহ নয় জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়ে থাকে।

এই সশস্ত্র রোহিঙ্গা গ্রুপগুলোর অস্ত্রের উৎস অনুসন্ধান করতে গিয়ে টেকনাফের পাহাড়ে লুকানো অস্ত্রের কারখানা খুঁজে পায় র‍্যাব-১৫, সেই সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে নয় জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র‍্যাব।

English summary
Rohingya Crisis: The way 4 refugees died in their own conflict in Bangladesh
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X