দুর্গোৎসবে আমদনি নতুন অসুর , পুজো প্যান্ডেলে দেখা যাবে রো রা সুরকে
রোরাসুর কে চেনেন ? এবার মহিষাসুরের বদলে এই রোরাসুরকে বধ দেখা যাবে এই ক্লাবে। ভাবছেন এই আবার কেমন অসুর ? বিগত কয়েক বছর বেশ কয়েকটি ক্লাব করোনাসুর বধের ছবি ফুটিয়ে তুলেছিল। সে অসুর মানুষের এখন চেনা। কিন্তু নতুন আবার কোথা থেকে আমদানি হল।
এই রোরাসুর কে আপনি ভালোভাবেই চেনেন। গত বছর দুয়েকের ইউটিউব সেনশেসন। বাঙালির বহু সংস্কার , সংস্কৃতি নিয়ে তিনি যা তা করে বেরান নেট দুনিয়ায়। সঙ্গে থাকে অসম্ভব খারাপ ভাষায় গালাগাল। সে সব শুনলে অনেকেরই কান ঝালাপালা হয়েছে। অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, অনেকে স্রেফ মজা নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার তাঁকে এক অদ্ভুত এক হিরোইজমে ভরিয়ে দিয়েছেন।
তাঁর মোক্সা নামক মক্ষ লাভের প্রতিবাদ এখন সবাই জানেন। কিন্তু কিম্ভূতকিমাকার সেই প্রতিবাদী ভাষা যে কী বলতে চায় তা মানুষের বোধগম্য নয়। তিনি প্রতিবাদ করেন তিনিই বোঝেন। নেশায় চুর হয়ে সে সব ভিডিও বানান। অনেকেই সে সব দেখেও। জানেন অশ্রাব্য ভাষায় একটা লোক যা তা কথা বলে যাচ্ছে তবু অনেকেই তা দেখেন। সম্প্রতি এসব করে গ্রেফতার হন। জেল হয়। সেখানে গিয়ে কয়েদিদের তাঁর ভয়ঙ্কর মোক্সা গান শুনিয়ে পাগল করে ছেড়েছেন। এবার বোঝা যাচ্ছে নিশ্চয় , এই রোরাসুর কে। একদম ঠিক ধরেছেন রোদ্দুর রায়।
শ্লীলতাকে বার বার নষ্ট করে, বাঙালির সংস্কৃতিকে বারাবার নোংরা করার জন্য মনসাবাগ ক্লাবের কাছে অসুর রোদ্দুর রায়। তাই তাঁকেই এবার বধের সিধান্ত নিয়েছে তারা। সোজা কথায় বলতে চাওয়া সমাজের এসব অসামাজিক জীব এবার নিপাত যাক। আর তাকে বধ করুন মা দুর্গা। তবে যদি এমন সব লোকজনের সত্যিকারের মোক্ষ লাভ হয়।
পুজো কমিটি একটি ছড়াও তৈরি করেছে । পড়লে পরিষ্কার হয়ে যাবে রহস্যটা কী। বলা হচ্ছে , কলিকালের অসুর, রো রা সু র, হবে খান খান, ত্রিশূল বধিবে ঘৃণ্য বাক্যবাণ। এই রো রা সুর বধ করে ৭৫ বছরের পুজো শুরু করছে মানসবাগ স্পোর্টিং ক্লাব। সরাসরি তার নাম মুখে না নিলেও পোস্টার ব্যানারে স্পষ্ট রোদ্দুর রায়। তার আদলেই এই অসুর বা অশুভ শক্তিকে ভাবা হচ্ছে। এখানে অশুভ বা অসুর হল কদর্য ভাষা কালো ভাষা, নোংরা ভাষা যা কিনা জনসমক্ষে মুখে আনা যায় না। ক্লাবের মহিলারা মা দুর্গার ত্রিশূল দিয়ে প্রতীকী বধ করবেন রো রা সুরকে।