বনধে মহারাষ্ট্রে সাড়া! বন্ধ দোকাটপাট, রাস্তা শুনসান, প্রভাব পড়েনি ট্রেন চলাচলে
উত্তর প্রদেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) শাসক এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনার ডাকা বনধ এখনও পর্যন্ত কমবেশি শান্তিপূর্ণ। উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে হিংসার ঘটনার প্রতিবাদ ছাড়াও তিনটি কৃষি আইন প্রত
উত্তর প্রদেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) শাসক এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনার ডাকা বনধ এখনও পর্যন্ত কমবেশি শান্তিপূর্ণ। উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে হিংসার ঘটনার প্রতিবাদ ছাড়াও তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারে দাবিতে কৃষক আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতেও এই বনধের ডাক। এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে রাস্তা শুনসান, বন্ধ দোকানপাট। তবে রেল চলাচলে বনধের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে।
রাস্তায় শিবসেনা, কংগ্রেস
এদিন বনধকে সফল করতে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছে শিবসেনা। কোলাপুরে পুনে-বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তারা। যদিও পুলিশ পরে তাদের সরিয়ে দেয়। এদিকে কংগ্রেসের তরফে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও রাজভবনের বাইরে লখিমপুর খেরি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান নানা পাটোলে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন এদিনের বনধে সমর্থন জানিয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখেছে। রাজ্যের সব থেকে বড় কাপড়ের বাজার হিন্দমাতা মার্কেট পুরোপুরি বন্ধ। লালবাগ, প্যারেল, দাদারে সব দোকান বন্ধ। নভি মুম্বই এবং নাসিকে এপিএমসি মার্কেট বন্ধ রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্য সরকারের থাকা তিনটি দল সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বন্ধের ডাক দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।
রাস্তা শুনসান, ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েনি
এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাট শুনসান। তবে মুম্বইয়ে আটটি বেস্ট বাসে বাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বনধের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। সংস্থার তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাঁরা পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন। তবে মুম্বই এবং শহরতলীর ট্রেন চলাচলে বনধের সেরকম কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে।
বিজেপির বিরোধিতা
রাজ্যের প্রধান বিরোধী বিজেপির তরফে এদিনের ডাকা বনধের বিরোধিতা করা হয়েছে। বিজেপি নেতা আশিস সেলার জানিয়েছেন, সেনা সবসময়ই উন্নয়নের বিরোধিতা করে এসেছে। তারা ১৯৮০-র দশকে মিল শ্রমিকদের ধর্মঘটকে পিছন থেকে সমর্থন করেছিল। করোনা পরিস্থিতির জেরে মানুষ যখন বিপর্যস্ত, সেই সময় শিবসেনা নভি মুম্বই-এর বিমানবন্দর এবং সিন্ধুদুর্গে উপকূলের রাস্তা তৈরিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বনধে নিরাপত্তা জোরদার
বনধের জেরে রাজ্য রাজধানী মুম্বইয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য পুলিশ তৈরি বলে জানানো হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। বিভিন্ন শহর এবং রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ ও হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।