অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট! অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্টের সম্ভাবনা
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কেন্দ্র অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠনের পথে। কিন্তু সেই পথ ততটা মসৃন নাও হতে পারে, যতটা আগে ভাবা হচ্ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কেন্দ্র অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠনের পথে এগোচ্ছে। কিন্তু সেই পথ ততটা মসৃণ নাও হতে পারে, যতটা আগে ভাবা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রাস্ট কীভাবে গঠন করা হবে, তা নিয়ে। এব্যাপারে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের ভিন্ন মত রয়েছে ট্রাস্টের সদস্যপদ আর কাজ দেখাশোনা নিয়ে।
কেন্দ্রের প্রাথমিক চিন্তা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেন্দ্রের তরফে প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে, সারা দেশ থেকে বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা এবং ধর্মগুরুদের ট্রাস্টে রাখা হবে। সূত্রের আরও খবর, এই ট্রাস্টে রাম জন্মভূমি ন্যাসের হাতে দায়িত্ব নয়, তাদের কয়েকজনকে এই ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় কেন্দ্র।
বিশ্বহিন্দু পরিষদের দাবি
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে ট্রাস্ট গঠন করা হোক ধর্মীয় বিধান অনুসারে। তাদের মতে এই ধরনের ট্রাস্টের গঠন কিংবা পরিচালনায় সরকারের সর্বনিম্ন হস্তক্ষেপ থাকা উচিত।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভিএইচপি মনে করে এই কাজে বৈষ্ণব (ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত) ধর্মগুরুদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তারা আরও প্রস্তাব দিয়েছে, রাম জন্মভূমি ন্যাসের দেওয়া ম্যাপ এবং ডিজাইন অনুযায়ী মন্দির তৈরির দাবি তুলেছে তারা।
'ট্রাস্ট তৈরির প্রয়োজন নেই'
অন্যদিকে ন্যাসের প্রধান মহান্ত নিত্যগোপাল দাস মনে করছেন, এই মন্দির তৈরির জন্য আলাদা করে ট্রাস্ট তৈরির কোনও প্রয়োজন নেই। কেননা ন্যাস দশকের পর দশক ধরে এই নিয়ে কাজ করে চলেছে।
যোগী আদিত্যনাথকে ট্রাস্টের প্রধান করার দাবি
মহান্তের মতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্রাস্টের প্রধান পদে বসানো উচিত। তবে তা প্রশাসন হিসেবে নয়, তিনি গোরক্ষনাথ পীঠের প্রধান পুরোহিতও বটে। আর যুক্ত ছিলেন মন্দির তৈরির আন্দোলনে।