আগামী ৫ বছর কোন পথে চলবে দেশ? সীতারমনের হাতে তুলে দেওয়া হল অর্থ কমিশনের 'প্রেক্রিপশন'
করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে রাজ্যগুলির আয় তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী পাঁচবছরে ভারতীয় অর্থনীতির গতিপথ কী হতে চলেছে? সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব সমেত নিজেদের রিপোর্ট পেশ করল পঞ্চদশ অর্থ কমিশন। ২০২১ থেকে ২০২৬ পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক রূপরেখা অঁকা রয়েছে এই রিপোর্টে।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের রিপোর্ট পেশ
এদিন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান এনকে সিং রিপোর্ট হাতে তুলে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের। রিপোর্ট পেশের সময় সেই মুহূর্তে কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। অজয় নারায়ণ ঝা, প্রফেসর অনুপ সিং, ডঃ অশোক লাহীড়ি, ডঃ রমেশ চন্দ্র, কমিশনের সেক্রেটারি অর্বিন্দ মেহতা রিপোর্ট পেশের সময় মন্ত্রকে উপস্থিত ছিলেন। চার খণ্ডের এই রিপোর্ট গত ৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে দিয়েছিল কমিশন। গতকাল এই পিরোপ্ট প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে জমা পড়েছিল। আর এদিন তা নির্মলা সীতারমনের হাতে তুলে দেওয়া হল।

'কোভিড কালে অর্থ কমিশন'
'কোভিড কালে অর্থ কমিশন' শীর্ষক রিপোর্টিটি নিয়ে টুইট করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও। প্রাথমিকভাবে কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর। তবে পরে কেন্দ্রের তরফে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। মূলত, কর ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার স্তরে বিপর্যয় মোকাবিলা, বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনা সহ একাধইক ইস্যুতে সুপারিশ রয়েছে রিপোর্টে। বিগত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক ক্ষেত্রে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রেক্ষিতে কমিশন গঠিত হয়েছিল।

আত্মনির্ভর প্যাকেজ ৩.০-এর ঘোষণা
দেশজুড়ে বাড়তে থাকা করোনার সংক্রমণে লাগাম টানতে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। গোটা দেশে টানা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। থমকে গেছিল দেশের অর্থনীতি। তবে গত সপ্তাহে দিওয়ালির আগেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন, লকডাউনের ধাক্কা সামাল দিয়ে ভালো ভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ম্যাক্রো-ইকোনমিক সূচকগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে কর্মসংস্থান ও আবাসনকে নজরে রেখে আত্মনির্ভর প্যাকেজ ৩.০-এরও ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।

বিহারে ভরাডুবির পর উত্তরপ্রদেশে মিলছে না জোটসঙ্গী, যোগীর বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অগ্নিপরীক্ষা