দেশের প্রধান বিচারপতি হলেন রাজেন্দ্রমল লোধা
১৯৪৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের যোধপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশব থেকেই পড়াশুনোয় ছিলেন তুখোড়। ১৯৭৩ সালে যোধপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন। রাজস্থান হাই কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন। সাংবিধানিক আইন ছাড়াও ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে অগাধ পাণ্ডিত্য রয়েছে তাঁর। ১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি রাজস্থান হাই কোর্টে বিচারপতি পদে নিয়োগ পান। ওই বছরেরই ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বম্বে হাই কোর্টে বদলি হন। ২০০৮ সালের ৩১ মে পাটনা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হন রাজেন্দ্রমল লোধা। ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টে এসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিয়েছেন দিয়েছেন। কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় তিনিই সিবিআইকে বলেছিলেন, তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানোর দরকার নেই। সিবিআই কীভাবে শাসক দলের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে চাঁছাছোলা সমালোচনা করেন তিনি। এর জেরে গত বছরের মে মাসে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার পদত্যাগ করতে হয়।
যেভাবে ইউপিএ সরকারকে নানা মামলায় ধুনেছেন তিনি, তাতে অনেকেই আশঙ্কা করেছিল যে, রাজেন্দ্রমল লোধাকে হয়তো প্রধান বিচারপতি পদে বসাতে বাগড়া দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ভোটের আগে বিতর্ক এড়াতে শেষমেশ তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বসাতে আপত্তি করেনি কেন্দ্র। তাই রাজেন্দ্রমল লোধার নিয়োগে সন্তোষ ব্যক্ত করেছে আইনজীবী মহল। রাজস্থান হাই কোর্টে তাঁর পুরোনো সহকর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আইনজীবী মহলে সৎ ও স্পষ্টবক্তা হিসাবে পরিচিত তিনি।