ভোটে জিতলে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি তেজস্বী যাদবের, পাল্টা তোপ বিজেপির
১০ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীকে চাকরির প্রতিশ্রুতি তেজস্বী যাদবের
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ প্রকাশের পড়েই ক্রমেই চড়ছে বিহার নির্বাচেন পারদ। দিন যত গড়াচ্ছে ততই নির্বাচনী প্রচারে জোর দিতে দেখা যাচ্ছে শাসক বিরোধী সব পক্ষকেই। অন্যান্যবারের নির্বাচনের মত এবারেও বইছে প্রতিশ্রুতির বন্যা। এমতাবস্থায় যুবসমাজের মন পেতে বড়সড় প্রতিশ্রুতি দিতে গেল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে।
১০ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীকে চাকরির প্রতিশ্রুতি তেজস্বী যাদবের
ভোটে জিতলে ১০ লক্ষ বেকার যুবককে এদিন সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আরজেডি যদি সরকার গঠনের সুযোগ পায় তবে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই ১০ লক্ষ বেকার যুবককে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।" তেজস্বীর আরও দাবি, "এটাকে কেবল ভোট পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি ভেবে ভুল করবেন না। সমস্ত যুবকেরই স্থায়ী চাকরিরর সংস্থান করা হবে।"
নীতীশকে চাপে রাখতে ‘বেরোজগারী হাটাও’ পোর্টাল চালু আরজেডি-র
আসন্ন বিধানসভা ভোট প্রসঙ্গে রবিবার পাটনায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান তেজস্ব যাদব। এদিকে নীতীশ সরকারকে চাপে ফেলতে গত মাসেই ‘বেরোজগারী হাটাও' নামে একটি পোর্টালও খোলা হয় আরজেডি-র তরফে। সেখানে ইতিমধ্যেই ২২ লাখ বেকার যুবক-যুবতী নিজেদের নাম লিখিয়েছেন বলে জানান তেজস্বী। তার মধ্যে ১৩ লাখেরও বেশি তরুণ-তরুণী মিসড কল দিয়ে নিজেদের না মিবন্ধন করেন। এই তথ্য সামনে রেখেই এই বিশাল পরিমাণ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায় আসন্ন নির্বাচনে নীতিশের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে।
কোন পথে আসবে চাকরির সুযোগ ?
এদিকে বর্তমানে বিহারে মোট জনসংখ্যার পরিমাণ সাড়ে ১২ কোটির আশেপাশে। বর্তমানে বিহারের স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার ও অন্যান্য বিভাগের কর্মী মিলিয়ে ২.৫ লক্ষ কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা তেজস্বী। পাশাপাশি বিহার পুলিশেও ৫০ হাজার শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও আরও একাদিক সরকারি বিভাগেও রয়েছে কয়েক হাজার শূন্যপদ। এই সমস্ত তথ্যকে সামনে রেখেই তার প্রতিশ্রুতি ও বাস্তয়বায়নের সম্ভাবনার কথা ব্যাখ্যা করকেন লালুপুত্র।
তেজস্বীকে এক হাত বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতিকে
এদিকে তেজস্বী যাদবের এই ঘোষণার পরেই তাকে এক হাত নিতে দেখা যায় এনডিএ-র অন্যতম প্রধান দল তথা জেডিইউ শরিক বিজেপি যুব মোর্চার নয়া প্রেসিডেন্ট তেজস্বী সূর্যকে। তার সাফ কথা, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারই রাজ্যের যুবসমাজের আসল দুঃখ-দুর্দশার কথা বুঝতে পারেন। অন্য যে কোনও রাজনৈতিক দলের থেকে বিহারে অনেক বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।"
রাজ্যে করোনায় কলকাতার সঙ্গে মৃত্যুতে পাল্লা হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার! আরও বাড়ল সুস্থতার হার