নীতীশের শপথগ্রহণের দিন থেকেই শুরু লড়াই! তেজস্বী জানিয়েদিলেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা
নীতীশের শপথগ্রহণের দিন থেকেই শুরু লড়াই! তেজস্বী জানিয়েদিলেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা
বিধানসভায় আসনের নিরিখে তৃতীয় দলের প্রধান মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছে। যা মেনে নিতে পারছেন না, প্রথম দল হিসেবে মর্যাদা পাওয়া আরজেডির তেজস্বী যাদব (tejaswi yadav)। তাই তিনি জানিয়েছেন, নীতীশ কুমারের ( nitish kumar) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কটের কথা। কার্যত এদিন থেকেই বিহারে (bihar) পরবর্তী রাজনৈতিক লড়াই শুরু করে দিলেন তেজস্বী।
চতুর্থবারের জন্য শপথ নেবেন নীতীশ কুমার
এদিন বিকেলে চতুর্থবারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। প্রথম ইউপিএ-র সময় থেকেই তিনি বিহারের শাসন ক্ষমতায়। এরপর ২০১৪ সালে মোদীর বিরোধিতা করে মহাজোট যোগ। পরে ২০১৫ সালে মহাজোটের হয়ে ফের বিহারের শাসন ক্ষমতায়। এরপর ২০১৭ সালে অবস্থান পরিবর্তন।
বিহারের রায় গিয়েছে এনডিএ-র বিরুদ্ধে
নীকীশ কুমারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কটের কথা জানিয়ে আরজেডি বলেছে, এবারের ভোটের রায় গিয়েছে এনডিএ-র বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রের নির্দেশে রায় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে আরজেডির তরফে। তারা বলেছে, বেকার যুবক, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষকদের সঙ্গে কী করা হচ্ছে, তা তাঁদেরই জিজ্ঞাসা করা হোক। এনডিএ-র মিথ্যার বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে আরজেডি। তাদের জনপ্রতিনিধিরা জনসাধারণের সঙ্গে আছেন বলেন জানিয়েছে আরজেডি।
পোস্টার ব্যালট আবার গণনার দাবি করেছিলেন তেজস্বী
সদ্য শেষ হওয়া বিহার বিধানসভার ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ করেছিল আরজেডি। যেসব কেন্দ্রে পোস্টাল ব্যালট শেষে গণনা করা হয়েছে, সেই সব কেন্দ্রে পোস্টাল ব্যালট আবার গণনার দাবি করেছিলেন তেজস্বী যাদব।
সরকার গঠনের দাবি
নীতীশ কুমার রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে দেখা করে বিহারে এনডিএ-র তরফে সরকার গঠনের দাবি করেন। রবিবার ঘোষণা করা হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি হবে সোমবার বিকেল ৪.৩০-এ। রবিবার এনডিএ-র বিধায়কদলের বৈঠক হয়। সেখানেই নেতা নির্বাচন করা হয়। নীতীশ কুমারের নাম ঘোষণার পরেই পরিষ্কার হয়ে যায়, তিনিই চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
বিহার বিধানসভায় দলগত অবস্থা
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় এনডিএ শিবির ১২৫ টি আসনে জয়ী হয়। সেখানে বিজেপি জেতে ৭৪ টি আসনে। অন্যদিকে জেডিইউ পায় ৪৩ টি আসন। এছাড়াও আরও আটটি আসন পায় এনডিএ-র বাকি দুই শরিক। কিন্তু ৭৫ টি আসন পেয়ে আরজেডি বিহার বিধানসভায় এক বৃহত্তম দল হয়েছে। কংগ্রেস ৭০ টি আসনে লড়াই করে পেয়েছে ১৯ টি আসন। বামেরা ২৯ টি আসনে লড়াই করে পেয়েছে ১৬ টি আসন।
রাহুল গান্ধীর সমালোচনায় আরজেডি
এদিকে বিহারে হার নিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব হয়েছে আরজেডি। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস এমনভাবে প্রার্থী নির্বাচন করেছে, যাঁরা বিহারের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত নন। আরজেডির নিশানায় রাহুল গান্ধী থেকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, সকলেই। আরজেডির অভিযোগ, বিহারে নির্বাচনের প্রচারে অবহেলা করে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সিমলায় পিকনিকে যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের পদক্ষেপে বিজেপি সুবিধা পাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে আরজেডি।
'বিজেপি নেতারা আমার পায়ে পড়ে কাঁদলেন',মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশের শপথের আগে তেজস্বীর দলের খোঁচা