বিহার উপনির্বাচনে বিজেপি শরিক নীতীশকে জোর ধাক্কা আরজেডির
বিহার উপনির্বাচনে বিজেপি শরিক নীতীশকে জোর ধাক্কা আরজেডির
লোকসভা ভোটে সাফল্যের মুখ দেখলেও চলতি সপ্তাহে হওয়া বিহার উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হল বিজেপি-আরজেডি জোট। রাজ্যের ৫ টি উপনির্বাচনী ক্ষেত্রের মধ্যে ৪টি তেই পরাজিত হন বিজেপি ও জনতা দল ইউনাইটেডের প্রার্থীরা।
অন্যদিকে ২০২০-র বিধানসভা ভোটের আগে ২ টি আসনে জিতে নীতিশকে নতুন বার্তা দিলেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। পাশাপাশি এই উপনির্বাচনেই বিহারের কৃষানগঞ্জ আসনটিতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করে বিধানসভায় অভিষেক ঘটল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন বা আইএমআইএমের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
পাশাপাশি সিমরি বখতিপুর বিধানসভা ক্ষেত্রে জেডিএউ প্রার্থীকে প্রায় ১৫,৫০৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয় লাভ করেন আরজেডি প্রার্থী জাফর আলম। অন্যদিকে ১৯,২৩১ ভোটে বেলহার বিধানসভা আসনটিতে জেতেন আরজেডি প্রার্থী রামদেও যাদব।
পাঁচটি নির্বাচনী ক্ষেত্রের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী দিতে দেখা যায় জেডিইউ-কে। তার মধ্যে তিনটিতেই পরাজয় ঘটে তাদের। পাশাপাশি জোট সঙ্গী বিজেপি একটি নির্বাচনী আসনে প্রার্থী দিলেও সেখানও হার স্বীকার করতে হয় তাদের। অন্যদিকে উপনির্বাচনে সাফল্যের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে লালু প্রসাদের কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী প্রসাদ যাদবকে বলেন,'আরজেডির এই জয়ের জন্য আমি প্রথমেই ভোটারদের ধন্যবাদ দিতে চাই। ভোটের আগে সর্বাগ্রে আমি সাধারণ মানুষের সমস্যা গুলির উপরই জোর দেওয়ার কথা বলেছিলাম। মানুষ আমাদের কথা শোনায় স্বাভাবিক ভাবেই আমরা খুশি। ’
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিহার বিধানসভার এই বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, 'এই উপনির্বাচন থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় আসন্ন বিধানসভা ভোটে মানুষ গতানুগতিক ও প্রথাগত কোনও জিনিস আর মানবেন না।’ পাশাপাশি আরজেডির এই জয়ের পিছনে সাধারণ মানুষের রায়কে জাতপাতের রাজনীতির পাল্টা তাদের প্রগতিশীলতার প্রমাণ বলেও এদিন উল্লেখ করেন লালু পুত্র। ’
অন্যদিকে একমাত্র ভাগলপুরের নাথনগর বিধানসভা আসনটিতে জেতেন জেডিইউ প্রার্থী লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল। পাশাপাশি এলজেপি প্রধান রাম বিলাস পাসওয়ানের ভাইপো প্রিন্স রাজ সমস্তিপুর সংসদীয় ক্ষেত্র থেকে জিতে মুখরক্ষা করেন এনডিএ-জেডিইউ জোটের। প্রিন্স তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী অশোক কুমারকে প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে হারান। অন্যদিকে আরজেডি প্রার্থী রুবিয়া খান জেডিইউ-র লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলের কাছে হেরে যান মাত্র ৫,১৩১ ভোটের ব্যবধানে।
অন্যদিকে কৃষানগঞ্জের মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেসের পরাজয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক সদানন্দ সিং বলেন, 'কৃষাণগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দলের অন্দরেই আমাদের কিছু কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। যা এইবারের নির্বাচনে কিছুটা হলেও ছাপ ফেলতে পারে।’
বিহার উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেডিইউ-র মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন প্রসাদ বলেন, 'আমরা পরবর্তীতে দলের অন্দরে এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশদে আলোচনা করবো। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এবারে পরাজয়ের সম্ভাব্য কারন গুলিও খতিয়ে দেখে দলের আগামী কর্মসূচী গুলিও ঠিক করা হবে।’
মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় বিজেপির ধাক্কা! 'রা' কাটল না তৃণমূল