কেন মাত্র ১০ লক্ষ চাকরির ভোট প্রতিশ্রুতি, আরজেডির ইস্তেহার প্রকাশ করে ব্যাখ্যা তেজস্বীর
কেন মাত্র ১০ লক্ষ চাকরির ভোট প্রতিশ্রুতি, আরজেডির ইস্তেহার প্রকাশ করে ব্যাখ্যা েতজস্বীর
নীতীশের প্রবল প্রতিপক্ষ এখন তেজস্বী। আরজেডির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। শনিবার নির্বাচনী ইস্তেহারে মাত্র ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আরজেডি। কেন এই সিদ্ধান্ত তার যুক্তি ব্যাখ্যা করেছেন লালু পুত্র। তেজস্বী বলেছেন এমন কোনও প্রতিশ্রুতি িতনি বিহারবাসীকে দিতে চান না যা কোনও দিন পূরণ করা সম্ভব হবে না। তিনি চাইলে ১ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিতে পারতেন। কিন্তু সেটা বাস্তবে কোনও দিনই পূরণ করা সম্ভব হত না।
ইস্তেহার প্রকাশ আরজেডির
অনেকটা দেরী করেই নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে আরজেজি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। তাতে ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আরজেডি। রাজ্যের বাজেটের ২২ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছে।
কেন মাত্র ১০ লক্ষ চাকরি
ইস্তেহার প্রকাশ করে তেজস্বী বলেছেন আমি মাত্র ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তাইলে ১ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিতে পারতাম। কিন্তু আমি জানি সেটা কোনওদিনই সম্ভব নয়। সেটা হলে রাজ্যবাসীকে মিথ্যে প্রলোভন দেওয়া হত। আমি চাই ক্ষমতায় আসার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে যেন এই চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারি। তাহলে সেটা হবে দেশের প্রথম এমন পদক্ষেপ যেখানে এক দিনে ১০ লক্ষ চাকরি দেবে কোনও রাজ্য সরকার। এই মুহুর্তে রাজ্য এতোজন কর্মীরই প্রয়োজন রয়েছে।
রোজগার এবং চাকরির ফারাক বোঝালেন তেজস্বী
এদিন তেজস্বী বলেন রোজগার আর চাকরির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষক, অধ্যাপক, ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার একাধিক চাকরি রয়েছে। কিন্তু তাঁদের সকলের রোজগার সমান নয়। ওই মুহুর্তে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি বলে দাবি করেছেম তিনি। বিহারে পুলিস কর্মীর সংখ্যা অনেক কম। সেই ক্ষেত্রটিতে আরও নিয়োগ জরুরি বলে দাবি করেছেন তেজস্বী। নীতীশ সরকার অনায়াসেই ৪ লক্ষ চাকরি িদতে পারত কিন্তু সেটা করা হয়নি।
ভিঁড় বাড়ছে তেজস্বীর সভায়
তেজস্বীর সভায় ভিড় বাড়ছে হু হু করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে করোনা পরিস্থিতিতে বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় কেড়েছেন নীতীশ। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের আবেগকে হাতিয়ার করেই নীতীশের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিচ্ছেন তেজস্বীরা। এখনও পর্যন্ত তেজস্বী যেকটি জায়গায় সভা করেছেন সবগুলিতেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন নীতীশ
সমীক্ষা বলছে গত পাঁচ বছরে বিহারে জনপ্রিয়তা কমেছে নীতীশ কুমারের। অনেকেই নীতীশের বিকল্প কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন।এর মূলে রয়েছে বিহারের গরিবি। গত কয়েক বছরে বিহারে দারিদ্র বেড়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে পরিকাঠামো গত উন্নয়ন হয়নি। মানুষের প্রাথমিক চাহিদা পানীয় জল, অন্নের সংস্থান তেমন ভাবে করে উঠতে পারেনি নীতীশ সরকার। বাড়ছে আদিবাসী ক্ষোভও।